গত জুন মাসে রাশিয়ায় ভাড়াটে যোদ্ধাদের সংগঠন ওয়াগনার বিদ্রোহের পর এক রুশ জেনারেলকে এই প্রথম দেখা গেছে অনলাইনে প্রকাশিত এক ছবিতে।
সের্গেই সুরুভিকিন ওয়াগনার প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিনের খুবই ঘনিষ্ঠ ছিলেন বলে মনে করা হয়। প্রিগোজিন গত মাসে এক বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত যান।
রাশিয়ায় এমন অনেক রিপোর্ট পাওয়া যাচ্ছিল যে ওয়াগনার বিদ্রোহের সাথে সম্ভাব্য সম্পর্কের বিষয়ে জেনারেল সুরুভিকিনের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।
কিন্তু ইউক্রেনে রাশিয়ার ওই সাবেক অধিনায়ককে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক ছবিতে এখন প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছে।
সোমবার রাশিয়ার এক নামকরা গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব কেসেনিয়া সোবচাক টেলিগ্রাম চ্যানেলে ছবিটি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘জেনারেল সের্গেই সুরুভিকিন প্রকাশ্যে এসেছেন। তিনি বেঁচে আছেন, সুস্থ আছেন, মস্কোতে তার বাড়িতে পরিবারের সাথেই আছেন। ছবিটা তোলা হয়েছে আজকে।’
ওই ছবিটি আসল কি-না তা বিবিসি এখনো যাচাই করে দেখতে পারেনি। ছবিতে জেনারেল সুরুভিকিনকে সানগ্লাস পরে লাল চুলের এক নারীর হাত ধরে হেঁটে যেতে দেখা যাচ্ছে। ওই নারী দেখতে জেনারেলের স্ত্রী আনার মতোই মনে হচ্ছে।
রাশিয়ার এক সাংবাদিক আলেক্সেই ভেনেডিক্টভও পৃথকভাবে টেলিগ্রাম চ্যানেলে লিখেছেন, ‘জেনারেল সুরুভিকিন বাড়িতে তার পরিবারের সাথেই আছেন। তিনি এখন ছুটিতে আছেন এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাথে যুক্ত আছেন।’
ওয়াগনারের সৈন্যরা ২৩ ও ২৪ জুন এক বিদ্রোহে যোগ দেয়। তারা মস্কোর দিকে অগ্রসর হবে বলে হুমকি দিচ্ছিল।
গত ২৩ আগস্ট মস্কোর কাছে একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়ে প্রিগোজিন এবং আরো নয়জন নিহত হয়। ওই ঘটনা নিয়ে তীব্র জল্পনা-কল্পনা চলছিল। বিদ্রোহ ব্যর্থ হওয়ার পর থেকেই অবশ্য রাশিয়ায় ওয়াগনারের নেতা প্রিগোজিনের মৃত্যু সময়ের ব্যাপার বলে বর্ণনা করা হচ্ছিল।
জেনারেল সুরুভিকিনকে সর্বশেষ প্রকাশ্যে দেখা গিয়েছিল ওয়াগনার বিদ্রোহের সময় এক ভিডিওতে। সেখানে তিনি বিদ্রোহ থামানোর জন্য সৈন্যদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছিলেন।
পরে অবশ্য গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছিল, তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে তিনি কোথায় আছেন তা সরকারিভাবে কখনোই নিশ্চিত করা হয়নি।
গত অক্টোবরে জেনারেল সুরুভিকিনকে ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর অধিনায়ক করা হয়। কিন্তু তিন মাস পরেই আবার তাকে ওই পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়।
সিরিয়ায় রাশিয়ার অভিযানের সময় ব্যাপক নিষ্ঠুরতার জন্য তিনি পরিচিতি পান। সেখানে তাকে ‘জেনারেল আর্মাগেডন’ বলে বর্ণনা করা হতো।
সূত্র : বিবিসি