যত দিন যাচ্ছে তাইওয়ান ঘিরে চীনা বাহিনীর সামরিক মহড়া তীব্র হচ্ছে। রোববার থেকে মোট ১০৩টি চীনা যুদ্ধবিমান দ্বীপরাষ্ট্রটির সীমান্তে দেখা গেছে। এ নিয়ে উদ্বিগ্ন তাইপেই। এবার চীনের কাছে এই ধরনের সামরিক মহড়া বন্ধ করার আর্জি জানালো তাইওয়ান।
চীনের এই আগ্রাসানে দুদেশের মধ্যে উত্তেজনার পারদ চড়ছে। সোমবার তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে চীনের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে ‘একতরফা ধ্বংসাত্মক পদক্ষেপ’ বন্ধ করার জন্য। বলা হয়েছে, ‘রোববার থেকে ১০৩টি চীনা যুদ্ধবিমান সাগরে দেখা গেছে। যা এখনো পর্যন্ত সর্বোচ্চ। গত ২৪ ঘণ্টায় যার মধ্যে কয়েকটি বিমান তাইওয়ান প্রণালীর মধ্যরেখা অতিক্রম করেছে। এক বছর ধরে চীন এই ধরনের অনুপ্রবেশ ঘটাচ্ছে।’ অবশ্য এই বিষয়ে এখনো বেইজিংয়ের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।
বলে রাখা ভালো, গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাইওয়ান সীমান্তে সব মিলিয়ে মোট ৬৮টি যুদ্ধবিমান উড়িয়েছিল চীনের লাল ফৌজ। এর মধ্যে ৪০টি বিমান বুধবার সকালে তাইওয়ানের‘এয়ার ডিফেন্স জোনে’ ঢুকে পড়ে। এমনকি ১০টি চীনা রণতরীও শনাক্ত করা হয়েছিল। ফলে চীনের এই মহড়া এখন চিন্তার ভাঁজ ফেলছে দ্বীপরাষ্ট্রটির কপালে।
উল্লেখ্য, চীন ও তাইওয়ানের মধ্যে বহুদিন ধরে চলছে ক্ষমতা দখলের লড়াই। গত তিন বছরে এই লড়াই আরো তীব্র হয়েছে। দ্বীপরাষ্ট্রটিকে নিজেদের দখলে আনতে মরিয়া চীন। এর আগেও বহুবার তাইওয়ানের সীমান্তে অনুপ্রবেশ ঘটিয়েছে চীনের ফৌজ। কিন্তু ‘ড্রাগন’কে এক চুল জমিও ছাড়তে নারাজ তাইওয়ান। ফলে বাদানুবাদ বেড়েই চলেছে দু’দেশের মধ্যে। এই সংঘাতে তাইওয়ানের পক্ষে দাঁড়িয়েছে আমেরিকা।
উল্লেখ্য, চীনের আগ্রাসান রুখতে প্রতিরক্ষা বিষয়ে তাইওয়ান যে বাজেট পেশ করেছে তার পরিমাণ ১৯০ কোটি মার্কিন ডলার। বিপুল অর্থের বাজেট প্রসঙ্গে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন বলেছেন, ‘আত্মরক্ষার ক্ষেত্রে তাইওয়ান নিজেদের আরো শক্তিশালী করবে। শক্তিশালী প্রতিরক্ষার দ্বারা জাতীয় নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা হবে। এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক স্তরেও সহযোগিতা প্রয়োজন।’ চীনের বিরুদ্ধে মজবুত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের উন্নতিতে লেগে পড়েছে তাইওয়ান। তৈরি করা হচ্ছে সাবমেরিনও।
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন