সমতল ডেস্কঃ রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্রে বালিশ কেলেঙ্কারি এবং ফরিদপুর মেডিকেলে পর্দা কেলেঙ্কারির পর এবার ধরা পড়েছে চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় উন্নয়ন প্রকল্পে নতুন এক বালিশ কেলেঙ্কারি।
প্রধানমন্ত্রী থেকে সরকারের মন্ত্রীরা যখন দুর্নীতি বিরোধী অভিযান নিয়ে সোচ্চার তখন সরকারের শরিকদল বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির প্রধান রাশেদ মেনন বলছেন, উন্নয়নের নামে চলছে হরিলুট। দুর্নীতি বিরোধী অভিযানে যখন ধরা পড়ছে সরকারি দলের ছত্রছায়ায় জুয়ার আসর,চাঁদাবাজি, টেন্ডাবাজি আর অবৈধ অর্থের বিশাল ভান্ডার, তখন প্রধানমন্ত্রীকে বলতে হচ্ছে উন্নয়নের অর্থ উই পোকায় খেয়ে ফেলছে।
তবে বিএনপিসহ বিরোধীরা বলছে দুর্নীতিতে সয়রাব হয়ে গেছে দেশ। এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে জনগণকে। বাংলাদেশের সকল মহলে এখন আলোচনা সমালোচনার প্রধান বিষয় হচ্ছে দুর্নীতি। এরকম অবস্থায় জানা গেল চট্টগ্রামে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণে উন্নয়ন প্রস্তাবনায় ৭৫০ টাকা মূল্যের প্রতিটি বালিশ ক্রয়ের ব্যয় প্রস্তাব করা হয়েছে ২৭ হাজার ৭২০ টাকা। আর প্রতিটি বালিশের কভারের দাম ধরা হয়েছে ২৮ হাজার টাকা।
চট্টগ্রামে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনায় (ডিপিপি) বালিশসহ যন্ত্রপাতি কেনার বিশাল দরপত্র দেখে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, এরকম প্রস্তাব দেওয়া ভুল ছিল।
গতকাল বুধবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে এক অনুষ্ঠানের শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সাংবাদিকদের জানান, ‘এই ডিপিপিতে ভুল হয়েছে। এ ধরনের প্রস্তাবও এক ধরনের দুর্নীতি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে এর পেছনে যারা আছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গত মাসেই ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের বিভিন্ন সরঞ্জাম কেনাকাটায় প্রায় ৪১ কোটি টাকার দুর্নীতির চাঞ্চল্যকর সব তথ্য ধরা পড়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রাথমিক তদন্তে। দেখা গেছে হাসপাতালে আইসিইউর (ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট বা নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) রোগীকে আড়াল করে রাখার এক সেট পর্দার দাম পড়েছে ৩৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা! এ ব্যাপারে তদন্ত করতে সম্প্রতি দুদককে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এর আগে, পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে বালিশ দুর্নীতিতে জড়িত ৩৪ সরকারি কর্মকর্তা ও তিন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাসহ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।বুধবার সচিবালয়ে ‘বালিশ দুর্নীতি’র তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বহুল আলোচিত এ দুর্নীতির ঘটনায় একটি বালিশের জন্য ব্যয় দেখানো হয়েছে ৬ হাজার ৭১৭ টাকা। এর মধ্যে এর দাম বাবদ ৫ হাজার ৯৫৭ টাকা আর সেই বালিশ নিচ থেকে ফ্ল্যাটে ওঠাতে প্রতিটিতে খরচ দেখানো হয়েছে ৭৬০ টাকা ।
source