মাস্তান ডেকে রোগী তাড়াচ্ছেন পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডাক্তার। নিজেই দেখুন ও বিচার করুন।
বাংলাদেশে বেশীরভাগ মানুষই ভালো কিন্তু সামান্য কিছু খারাপ মানুষও আছেন। বাংলাদেশের বেশীরভাগ ডাক্তারই ভালো, আবার সামান্য কিছু খারপ্ ডাক্তারও আছেন।
একজন ভালো ডাক্তার দেখেছিলাম প্রায় ২৮ বছর আগে যিনি ঢাকায় র্যাংগস ভবনের পাশের বিল্ডিং-এ রোগী দেখতেন। তার টেবিলের উপর একটা ছোট সাইন বোর্ডে লেখা ছিল “ভিসিট দিতে কষ্ট হলে দিবেন না।”
এখানে আলোচনা খারাপদের নিয়ে, ভালদের উদ্দেশ্যে নয়।
সব মেধাবীরা মহামানব নয়। মেধাবীরা ভাল কাজও করেন আবার খারপ কাজ যেমন বোমা বানানো, ধ্বংসাত্মক অস্ত্র তৈরি, ডাকাতি করা, আবরার হত্যা, জনগনের ট্যাক্সের টাকায় বেতন নিয়ে খারাপ ডাক্তারগন হাসপাতালের দায়িত্ব পালন না করে ক্লিনিকে গিয়ে টাকা কামাই করেন আর হাসপাতালের রোগীর অবস্থা বেশী খারাপ হলে ফোনে নার্স বা ইন্টার্র্নিকে বলেন ঢাকায় বা রাজশাহীতে পাঠিয়ে দিতে; এদের অনেকে মারা যান রাস্তায়। দায়িত্ব পালনের অবহেলায় হাসপাতালে বা রাস্তায় যেখানেই রোগী মারা যাক কৈফিয়ত দিতে হয়না ডাক্তারকে; কারন কৈফিয়ত চাইলেই হুমকি দেন মানুষ হত্যার, স্ট্রাইকের মাধ্যমে। এধরণের হুমকি আর কোন পেশার মানুষই দেননা।
বাংলাদেশে যখন কোন ব্যাক্তি সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করেন যেমন মেডিক্যাল কলেজে; অসাধু ডাক্তারগন ভুলেই যান তিনি ডাক্তার হচ্ছেন রাষ্ট্রের ও জনগণের ট্যাক্সের টাকায় যেখানে রিক্সাওয়ালা, সুইপার, দোকানদার, তরকারিওয়ালা, অটো-ওয়ালা, মুরগিওয়ালা, বাস ড্রাইভার, ট্রাক ড্রাইভার সহ সকল পেশার মানুষই ট্যাক্স দাতা। আবার যখন তিনি ডাক্তার হয়ে সরকারী চাকুরী করেন তখন তিনি যে বেতন নেন তাও রাষ্ট্রের ও জনগনের টাকা। তিনি যদি কোন বেসরকারী মেডিক্যাল কলেজে পড়তেন তাহলে তার ডাক্তার হতে খরচ হতো ৪০ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা, আর তিনি যদি কোন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করতেন তাহলে তাকে ৮ ঘনটা প্রতি মিনিট ধরে দায়িত্ব পালন করতে হতো কখন বা আরও বেশী। তাহলে যে জনগণের টাকায় তিনি ডাক্তার হলেন এবং যে জনগণের টাকায় তিনি বেতন নিয়ে ভাত খান, কাপড় পরেন সেই অসহায়-অসুস্থ জনগনের কাছে তিনি কি ভাবে উচু শ্রেণীর লোক সেজে তাদের সাথেই দূর-ব্যবহার করেন? আবার আউটডোরে রুগী দেখার সময় নির্লজ্জের মত ঐ অসুস্থ জনগণকে কমিশনের লোভে পাঠান নির্দিস্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টারে প্রয়জনিয়-অপ্রয়জনিয় পরিক্ষা-নিরিক্ষার জন্য। সরকারী হাসপাতালের আউটডোরে বসে বলেন অমুক ক্লিনিকে আমি বসি, ৫০০ টাকা ভিসিট নিয়ে এসো ভালো করে চিকিৎসা দিব। আবার নির্লজ্জের মত দালাল লাগিয়ে সরল অসুস্থ রোগীদের ক্লিনিকে ভাগিয়ে নিয়ে প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে অপারেশন করে মোটা অংকের টাকা নেন। কোন কোন রোগীর ঐ টাকা গুলো চরা সুদে এন-জি-ও থেকে ঋণ নেয়া।
তাহলে কি করবে দুর্বল-সরল-অসহায়-অসুস্থ-গরীব মানুষেরা যখন কোন খারাপ ডাক্তারের কবলে পরবে?
চিন্তাসীলদের কারো কারো কিছু পরামর্শ শোনা যায়।
যেমন ক্ষতিগ্রস্থ-অপমানিত রোগী বা রোগীর পরিবারের সদস্য আইনের আশ্রয় নিবেন। প্রথমেই তারা হাসপাতালের সহকারী পরিচালকের সাথে যোগাযোগ করেবেন, এরপর স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও সাংবাদিকদের সমস্যা গুলো অবহিত করবেন। কখনো কখনো অসাধু ডাক্তারগণ কাগজপত্রের রেকর্ড পরিবর্তন করে ফেলেন ও মিথ্যার আশ্রয় নেন। এক্ষেত্রে হাসপাতালের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ, নিজের মোবাইলের রেকর্ডার ও সঙ্গের সাথীর সাক্ষের আশ্রয় নিবেন।
চিন্তাশীলদের মতে অসাধু ডাক্তারগন যদি অসততা ত্যাগ করে ডাক্তারি আইন-কানুন, এথিক্স মেনে চলেন তাহলে তিনি আরও বেশী টাকা আয় করতে পারবেন।
source