পর্ব-৪: অবৈধ অস্ত্র স্টেনগান ব্যবহারকারীর সংবাদটি মুছে দেওয়ার জন্য সমতলের অফিসে অনুরোধ
======
সমতল ডেস্কঃ অবৈধ অস্ত্র স্টেনগান ব্যবহারকারীর সংবাদটি সমতলের পোর্টাল থেকে মুছে দেওয়ার জন্য পাবনার দুই সাংবাদিক সমতলের অফিসে ফোন দিয়ে গডফাদারের মত চিবিয়ে চিবিয়ে অনুরোধ জানান। সমতলের ফোন রিসিভকারি সাংবাদিকের সাক্ষাৎকার এখানে দেওয়া হলো।
অনুরোধকারীর নাম কিঃ
নামটা এখনি বলা হবেনা, সংশোধনের সুযোগ দেওয়া হল।
তাঁর বাড়ি কোথায়ঃ সিরাজগঞ্জের মানুষ, পাবনায় ভারা থাকে, অবৈধ উপায়ে অর্জিত টাকা দিয়ে ফ্লাট কেনার কথা। কারন যে বেতন……
তার এত সাহস কোথা থেকে এলোঃ
১) এটা সাহস নয়। এরা এমন একটা পরিস্থিতি থেকে উঠে এসেছে , সাংবাদিক পরিচয়, ব্লাক্মেইল, মোসাহেবি, বিভিন্ন অর্থশালী বাক্তিদের সাহায্যে চলতে হয়। এরা ভদ্র-শিক্ষিত সমাজের বাক্তিদের ভদ্রতাকে দুর্বলতা মনে করেকরে। এরা মোসাহেবি, ব্লাক্মেইল, চাটুকারিতা,ষড়যন্ত্র জানে ; ভদ্রতা জানেনা।
২) সে আইন জানেনা (যেমন দুদকের আইন), নিয়ম জানেনা
৩) সে কাকের মত, মনে করে তার খবর কেউ জানে না। ময়ূর সাজার জন্য প্রায় প্রতিদিন কোনও কাজ না করে বিভিন্ন ফালতু উসিলায় নিজের ছবি বিভিন্ন জায়গায় ছাপায়।
৪) সে কয়েক জাগায়ঃ
————-
A) ষড়যন্ত্র ও পিছন থেকে ছুরি মেরে সফল হওয়ার কারনে
B) কিছু সন্মানিত ব্যক্তির সাথে ছবি তুলে
C) কয়েক জাগায় দাওয়াত পেয়ে
D) গত কয়েক মাসে মোটা অঙ্কের অবৈধ টাকা হাতে পেয়ে ( বিভিন্ন উপায়ে)
E) কিছু অপরাধীকে সহায়তা করে সম্পর্ক স্থাপন করেছে
F) কয়েকটা মাদকাসক্ত সাংবাদিক সঙ্গি পেয়ে।
G) সে মনে করেছে পাবনার স্থানীয়রা কিছু বোঝেনা ইত্যাদি।
তার অপরাধ গুলো সন্মন্ধে একটু ধারনা দিনঃ
——–
১) এক গৃহিণীর নামে টেলিভিশনের নিয়োগ নিয়ে নিজে সুবিধা নেওয়া।
২) বে-আইনি ঘুষ বাণিজ্য
৩) কোর্ট পাড়ায় বানিজ্য করা
৪) মদের ব্যবসা থেকে মাসোয়ারা নেওয়া
৫) আইন ভঙ্গ করে বিভিন্ন সংগঠনে পদ নিয়ে অর্থ উপর্জন করা
৬) সে যেসকল প্রতিষ্ঠানে / সংগঠনে জরিত সেখানে দুর্নীতি করা এবং সেই সংগঠনকে অকার্যকর করে রাখা, শুধু দিবসে মোনাজাত করে ছবি প্রচার করা
৭) বিভিন্ন অবৈধ ফ্যক্টরি থেকে মাসোয়ারা নেওয়া
৮) কোনও অনুষ্ঠানর র্যা লিতে তাকে সামনে না রাখলে, টাকা না দিলে পাবনার স্থানীয়দের সংবাদ, ভিডিও, ছবি নষ্টো করে দেওয়া
৯) ইটের ভাটা থেকে টাকা নেওয়া
১০) মাসোয়ারা পাওয়ার বিনিময়ে কর্মরত প্রতিষ্ঠান কে, জনসাধারন ও রাষ্ট্রকে সংবাদ থেকে বঞ্চিত করা
১১) সিরাজগঞ্জের লোক হয়েও শুধু মাত্র ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে পাবনার স্থানীয়দের ( নেতা, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, সুধীজন ইত্যাদি শ্রেণী ) মধ্যে বিভেদ তৈরি করে সুবিধা নেওয়া।
১২) কথার দ্বারা সুকৌশলে ভয় দেখিয়ে সুধিজনের কাছ থেকে সুবিধা আদায় করা।
১৩) নিয়াজ নামের একজন সাংবাদিক জানালেন তাকে সংবাদ প্রকাশ না করার শর্তে কিছু টাকার ভাগ দেওয়া হয়েছে।
১৪) সংবাদ ছাপিয়ে এক ব্যক্তিকে ব্ল্যাকমেইল করার কারনে একবার প্রচন্ড মার খেয়ে অনেকদিন হাসপাতালে ছিলো।
১৫) কিছু মাদক ব্যবসায়ী সাংবাদিক ও মাদক সেবী সাংবাদিকদের দিয়ে বিভিন্ন যায়গা থেকে টাকা কালেকশন করায়।
১৬) এই সাংবাদিক প্রথমে একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি কে টার্গেট করে (যেমনঃ পাবনা-২ এর MP খন্দকার আজিজুল হক আরজু , সিভিল সার্জন অফিসের মাহমুদ, এডয়ার্ড কলেজের প্রিন্সিপ্যাল, কফিল উদ্দিন বিস্কুট ফ্যাক্টরি সহ আরও অনেকে এরপর তাঁর অনুগত কোনও এক সাংবাদিক কে দিয়ে নেতিবাচক সংবাদ করায়, এরপর মামলা হলে এই সাংবাদিক নেতা সেজে বিভিন্ন চ্যানেল দিয়ে পায়ে ধরে ঐ প্রভাবশালী ব্যক্তির সাথে মীমাংসা করে। এরপর সেই পরিচয়ের সুবাদে ঐ প্রভাবশালী ব্যক্তির কাছ থেকে নানাধরনের সুবিধা নিতে থাকে। যেমন ছোট সুবিধার মধ্যে তাঁর সাথে ছবি তুলে প্রচার করা, অন্যান্য সুবিধা গুলো হল টাকা, দাওয়াত, চাকরি, তদবির ইত্যাদি।
১৭) এই সাংবাদিক মনে করে বাংলাদেশের মিডিয়া গুলোর চেয়ারম্যান গুলোর সাথে পাবনার ভদ্র সমাজের কোনও সম্পর্ক নাই, এটা মনে করার কারন হল পাবনার স্থানীয়দের ভদ্রতাকে দুর্বলতা মনে করে।
১৮) শোনা গেছে বিভেদের সুযোগ নিয়ে সে MP নির্বাচনে দাঁড়াবে।
১৯) বিভিন্ন হোটেল থেকে মাসোয়ারা নেয়। ২০) কালোবাজারিদের নিকট থেকে মাসোয়ারা নেওয়া। ইত্যাদি……
*** নোটঃ সেই সাংবাদিকের এপর্যন্ত আরও ১২৮টি অপরাধের কথা জানা গেছে, আরও আসছে।
সমতল কি ব্যবস্থা নিবেঃ সে সাংবাদিক যদি তার মুদ্রা দোষ অনুযায়ী কোনও আইন ভঙ্গ করে, দুর্নীতি করে, মিথ্যা সংবাদ ছাপায়, কাউকে বিপদগ্রস্থ করে, পেছন/সামনে থেকে ষড়যন্ত্র করে পাবনার কোনও বাক্তিকে ব্ল্যাকমেইল করে স্বার্থ আদায় করে, ও বিভেদ সৃষ্টি করে তবে সমতল আইনের আশ্রয় নিবে এবং আইন অনুযায়ী সংবাদ ছাপিয়ে পাবনার, দেশের জনসাধারণ ও রাষ্ট্রকে জানাবে। সেই সাথে তার সংবাদ মাধ্যমের চেয়ারম্যান, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও নেতাদের বিষয় গুলো অবহিত করবে।
ধন্যবাদ।