ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মাদরাসাগুলোর উন্নয়নের জন্য গঠন করা হবে কমিটি। সোমবার রাজ্য বিধানসভায় এমনটাই জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি বলেছেন, বর্তমানে রাজ্যের মাদরাসাগুলোর অনেক উন্নয়ন হয়েছে। যার ফলে অনেক সংখ্যালঘু ছেলে-মেয়েরা আইএস এবং আইপিএস হচ্ছে। এ অবস্থায় রাজ্যের মাদরাসাগুলোর আরো উন্নয়নের লক্ষ্যে এই কমিটি গঠন করা হবে।
রাজ্য বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংখ্যালঘুদের উন্নয়নের জন্য রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ এবং পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন।
তিনি জানান, সংখ্যালঘুদের পড়াশোনায় আরো উন্নয়নের লক্ষ্যে মাদরাসাগুলোর জন্য বাজেট কয়েক গুণ বাড়ানো হয়েছে। তাছাড়া বাইরে পড়ার জন্য ৩০ লাখ রুপি পর্যন্ত ঋণ দেয়া হচ্ছে। সংখ্যালঘুদের জন্য স্কলারশিপের ক্ষেত্রে দেশের মধ্যে এক নম্বরে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ।
এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রকে আক্রমণ করে তিনি জানান, কেন্দ্রীয় সরকার বাংলা ছাত্র-ছাত্রীদের বঞ্চনা করছে। তবে রাজ্য সরকার ৪৫ লাখ ছাত্র-ছাত্রীকে স্কলারশিপ দিচ্ছে।
এদিন বিধানসভায় এই বিষয়ে জানাতে গিয়ে তিনি সংখ্যালঘুদের জন্য অন্য কোন খাতে কত খরচ করা হয়েছে তার তালিকা তুলে ধরার পাশাপাশি জানান, সংখ্যালঘুদের জন্য অনেক কাজ চলছে। তিনি বলেন, অনেক সংখ্যালঘু ছেলে-মেয়ে আইএএস আইপিএস হচ্ছেন।
তিনি আরো জানান, সমস্ত কিছু যাচাই দেখার পর ওই কমিটি আগামী ছয় মাসের মধ্যে রিপোর্ট দেবে। তার ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেয়া হবে। যে সমস্ত মাদরাসার রেজিস্ট্রেশন নেই, সেগুলো যাচাই করা হবে।
কমিটিতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিশেষজ্ঞদের রাখা হবে বলেও জানা গেছে।
উল্লেখ, ২৩৫টি মাদরাসা সরকারের থেকে সাহায্য পায় না। ওই মাদরাসাগুলোকে স্বীকৃতি দেয়ার কথা জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পাশাপাশি খারিজি (কওমি) মাদরাসাগুলোর উন্নয়নের জন্যও কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। পাশাপাশি গত ১২ বছরে সংখ্যালঘুদের উন্নয়নের জন্য ১২ বাজেট বৃদ্ধি পেয়েছে বলে তিনি জানান।
তিনি বিরোধীদের বলেন, ‘আমরা সব দল ও সব ধর্মের মানুষকে নিয়ে কাজ করব। কারো কিছু অভিযোগ থাকলে আমাকে এসে বলতে পারবেন।’
যদিও মাদরাসাগুলোতে উন্নয়ন ঠিকমতো হয়নি বলে অভিযোগ করলেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী।
তিনি বলেন, ‘যে সমস্ত সরকারি মাদরাসা আছে আগে সেগুলোর শিক্ষার মান উন্নত করা হোক। সেগুলোতে উপযুক্ত শিক্ষক নিয়োগ করা হোক।’
একই সাথে কমিটিতে সমস্ত সম্প্রদায়ের মানুষজন রাখার দাবি জানিয়েছেন নওশাদ সিদ্দিকী।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস