মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য পোল্যান্ড স্নায়ুযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে তার বৃহত্তম সামরিক মহড়া সম্পন্ন করেছে। ১৯২০ সালে সোভিয়েত বাহিনীর বিরুদ্ধে বিজয় বার্ষিকী উপলক্ষে এবং প্রতিবেশী ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলাকে সামনে রেখে এই মহড়ায় পোল্যান্ড তার সর্বাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র প্রদর্শন করেছে। তাছাড়া আগামী মাসে অনুষ্ঠেয় দেশটির পার্লামেন্ট নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করাও এর আরেকটি লক্ষ্য।
১৯২০ সালের ওয়ারশ যুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়নের রেড আর্মির বিরুদ্ধে পোল্যান্ডের বিজয়ের ১০৩তম বার্ষিকী উদযাপনের জন্য এই ‘আর্মড ফোর্সেস ডে’ প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়। ওই যুদ্ধে ইউরোপের দিকে অগ্রসরয়মান বলশেভিক বাহিনীকে পরাজিত করে পোল্যান্ডের সৈন্যরা।
ইউক্রেনে রাশিয়ার পূর্ণ মাত্রার অভিযানের পর পোল্যান্ডের সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিক করাটা ক্ষমতাসীন জাতীয়তাবাদী ল অ্যান্ড জাস্টিজ পার্টির কাছে অগ্রাধিকার পাচ্ছে। এই মহড়ার মাধ্যমে তারা ভোটারদের কাছে বার্তা দিতে চাচ্ছে যে তারা দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর।
পোলিশ প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজেজ দুদা মঙ্গলবার মহড়া উদ্বোধনের সময় বলেন, ‘আমাদের পূর্ব সীমান্ত, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও ন্যাটোর সীমান্ত আজ পোল্যান্ডের রাষ্ট্রীয় স্বার্থের উপাদান।’
বিপুল সংখ্যক লোক ৯৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রা উপেক্ষা করে মহড়ায় যুক্তরাষ্ট্রের নির্মিত আব্রামস ট্যাঙ্ক, হিমার্স মোবাইল আর্টিলারি সিস্টেম, প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র সিস্টেম প্রত্যক্ষ করে।
মহড়ায় এছাড়া এফ-১৬ যুদ্ধবিমান, দক্ষিণ কোরিয়ার এফ-এ-৫০ যুদ্ধবিমান এবং কে৯ হাউটজারও প্রদর্শিত হয়। এতে পোল্যান্ডের তৈরী করা হাউটজার ও রোসোমাক সাজোয়া যানও প্রদর্শন করা হয়।
সূত্র : আল জাজিরা