পাকিস্তানে সংবিধান অনুযায়ী আগামী নভেম্বরে জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও তা সম্ভবত পিছিয়ে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে হবে। আর এই বিলম্বকে সামনে রেখেই সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) সর্বোচ্চ নেতা নওয়াজ শরিফ আগামী মাসের মাঝামাঝি সময় দেশে ফিরছেন।
পাকিস্তানের সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পিএমএল-এন নেতা রানা সানাউল্লাহ মঙ্গলবার বলেন, নওয়াজ শরিফ নিশ্চিত যে দেশের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন হবে ফেব্রুয়ারিতে।
তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে নির্বাচনী আসনের সীমানা নির্ধারণ হতে হবে। আর তা সম্পন্ন হবে ডিসেম্বরে। এ কারণে নওয়াজ নিশ্চিত যে নির্বাচন হবে ফেব্রুয়ারিতে।
দুর্নীতির মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত নওয়াজ ২০১৯ সালের নভেম্বরে চিকিৎসার জন্য লন্ডন যান। অনেকগুলো মামলা থাকায় তিনবারের পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী এরপর আর দেশে ফেরেননি।
গত সপ্তাহে তার ছোট ভাই এবং ওই সময়ের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফও জানান, নওয়াজ সেপ্টেম্বরে দেশে ফিরবেন এবং পিএমএল-এনের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেবেন। আর নির্বাচনে তাদের দল জয়ী হলে নওয়াজই হবেন প্রধানমন্ত্রী।
রানা সানাউল্লাহ বলেন যে কর্তৃপক্ষ ৯০ দিনের নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই নির্বাচন আয়োজন করতে চেয়েছিল। উল্লেখ্য, পার্লামেন্টের মেয়াদ শেষ হওয়ার তিন দিন আগে ৯ আগস্ট পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেয়া হয়। পাকিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী, মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়া হলে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। আর পার্লামেন্ট তার মেয়ার পূর্ণ করলে নির্বাচন করতে হবে ৬০ দিনের মধ্যে। এই আলোকে পাকিস্তানে নভেম্বরেই নির্বাচন হওয়ার কথা।
কিন্তু পাকিস্তানের সাম্প্রতিক ডিজিটাল জনশুমারির ফল চলতি মাসের প্রথম দিকে অনুমোদিত হওয়ায় নিশ্চিতভাবেই বলা যায়, আসনগুলোর সীমানা নির্ধারণ করার জন্য নির্বাচন পিছিয়ে যাবে।
সূত্র : ডন