ইউক্রেনের উত্তরাঞ্চলীয় শহর চেরনিহিভ শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো রাশিয়া। ঘটনায় পাঁচজন বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে দেশের সামরিক কর্তাদের সাথে যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা সারলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন।
শনিবার রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ফলে পাঁচজন নিহত হন এবং ৩৭ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। চেরনিহিভ শহরের একটি কেন্দ্রীয় চত্বরে শনিবার রাশিয়া এই হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয় বলেছে, ধর্মীয় একটি ছুটির দিনে গির্জায় যাচ্ছিলেন মানুষজন। তখনই হামলা চলে। ঘটনায় আহতদের মধ্যে ১১ জন শিশু।
সুইডেন সফরকালে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি একটি টেলিগ্রাম পোস্টে বলেন, একটি রাশিয়ান ক্ষেপণাস্ত্র আমাদের চেরনিহিভ শহরের ঠিক মাঝখানে আঘাত হানে। এই চত্বরে একটি পলিটেকনিক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে, একটি থিয়েটারও রয়েছে।
তিনি জানিয়েছেন, একটা সাধারণ শনিবারকেও রাশিয়া এবার যন্ত্রণা এবং ক্ষতির দিনে পরিণত করেছে।’
জেলেনস্কির পোস্টের সাথে একটি ছোট ভিডিওতে ধ্বংসাবশেষের ছবি দেখা গিয়েছে। ছবিতে দেখা যায়, থিয়েটারের কাছেই পার্ক করা গাড়িগুলোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গাড়ির মধ্যে একটি দেহও দেখা গেছে।
সীমান্ত এলাকা থেকে দূরে ইউক্রেনের শহরগুলোতে আক্রমণ চালাচ্ছে রাশিয়া। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারির শেষ থেকে ইউক্রেনে আগ্রাসন চালাচ্ছে রাশিয়া।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী উলফ ক্রিস্টারসনের সাথে আলোচনায় অংশ নেবেন। রাজপরিবারের সাথেও বৈঠকের কথা রয়েছে তার।
এদিকে, রুশ প্রেসিডেন্ট পুটিন ইউক্রেন অপারেশনের সদর দফতরে চিফ অফ দ্য জেনারেল স্টাফ ভ্যালেরি গেরাসিমভসহ সামরিক নেতাদের সাথে দেখা করেছেন। ইউক্রেন সামরিক সীমা বরাবর একটি ছোট গ্রাম দখলমুক্ত করেছে ঘোষণা করার পরই পুটিন সাক্ষাৎ করেন সামরিক কর্তাদের সাথে।
ক্রেমলিনের মতে, পুটিন ইউক্রেনের সীমান্ত থেকে মাত্র ১০০ কিলোমিটার (৬২ মাইল) দূরে অবস্থিত একটি শহর রোস্তভ-অন-ডনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ সদর দফতরে বৈঠকটি করেন। জুন মাসে ভাগনার গোষ্ঠীর ভাড়াটে সেনাদের স্বল্পমেয়াদি বিদ্রোহও এখান থেকেই শুরু হয়েছিলো।
পুটিন ইউক্রেনে মস্কোর অপারেশনের দায়িত্বে থাকা সেনাবাহিনীর জেনারেল স্টাফের প্রধান ভ্যালেরি গেরাসিমভের কাছ থেকে বিস্তারিত রিপোর্ট শুনেছেন।
ইউক্রেন শনিবার বলেছে, রুশ হামলার সময় তারা রাতারাতি ১৫টি ড্রোনগুলো করে নামিয়েছে। এদিকে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাদের বাহিনী রাতারাতি রাশিয়া-অধিকৃত ক্রিমিয়ান উপদ্বীপে ইউক্রেনের ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্রগুলি করে মাটিতে নামিয়েছে।
টেলিগ্রাম ম্যাসেজিং অ্যাপে একটি বিবৃতিতে রুশ মন্ত্রণালয় বলেছে যে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি এবং কোনো ক্ষতি হয়নি। সূত্র : ডয়চে ভেলে