• Home
  • Terms & Privacy
  • About
  • Contact
Wednesday, February 1, 2023
সমতল
Advertisement
No Result
View All Result
  • Home
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • প্রতারণা ও দুর্নীতি
  • মতামত
  • সাংবাদিকতা
  • আমার অধিকার
  • সকল গণমাধ্যম
  • App
  • সংবাদ দিন
No Result
View All Result
সমতল
No Result
View All Result
Home বাংলাদেশ

‘সরকারি হাসপাতালে প্রাইভেট প্রাকটিস’

24/01/2023
Reading Time: 2min read
A A


বাংলাদেশের সরকারি হাসপাতালের ডাক্তাররা মার্চের ১ তারিখ থেকে নিজ প্রতিষ্ঠানে রোগী দেখতে পারবে। ডাক্তাররা সরকারি হাসপাতালে ডিউটি শেষে ওই হাসপাতালেই প্রাইভেট প্র্যাকটিসের সুবিধা পাবে, অর্থাৎ টাকা নিয়ে রোগী দেখতে পারবে।
সরকারি হাসপাতালের ডাক্তারদের আর বাইরে ব্যক্তিগত চেম্বার, ক্লিনিক, ফার্মেসি কিংবা বেসরকারি হাসপাতালে গিয়ে রোগী দেখতে হবে না।
রোববার (২২ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের এক জরুরি সভা শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এসব কথা জানান। স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে এই কার্যক্রমকে বলা হচ্ছে ইন্সটিটিউশনাল প্র্যাকটিস।
তবে অনেক জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ বলছেন, এই সিদ্ধান্তে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের সেবা ব্যহত হতে পারে।
ইন্সটিটিউশনাল প্র্যাকটিস কিভাবে কাজ করবে?বাংলাদেশের সব সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকরা রোগী দেখেন সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত। এরপর বেশিরভাগ চিকিৎসক বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক বা ব্যক্তিগত চেম্বারে রোগী দেখে।
প্রাথমিকভাবে সরকারি হাসপাতালে রোগী দেখা শেষে বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এই প্রাইভেট প্র্যাকটিসের সুযোগ দেয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। এতে একজন রোগীর বাইরে ডাক্তার দেখাতে যে খরচ হয়, তার চেয়ে কম খরচে ভালো সেবা পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘চিকিৎসকরা বাইরে যত ফি নেয়, নিশ্চয়ই নিজের প্রতিষ্ঠানে প্র্যাকটিস করার সময় খরচ কমাবে। তাছাড়া সব রোগীর ফি তো সমান হবে না। এতে রোগীরা কম খরচে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখাতে পারবে। যারা ভর্তি আছে, তারাও চিকিৎসা পাবে। সরকারি হাসপাতালে একসাথে অনেক ডাক্তার পাওয়া যাবে।’
এতে সরকারি হাসপাতালে কোনো চিকিৎসককে জরুরি প্রয়োজন হলে তাকে পাওয়াটা সহজ হবে। সেই সাথে সরকারি চিকিৎসকরা ধীরে ধীরে বাইরে প্রাইভেট প্র্যাকটিসে নিরুৎসাহিত হবে বলে সরকার আশা করছে।
প্রাথমিকভাবে ২০টি জেলা, ৫০টি উপজেলা হাসপাতাল, ও পাঁচটি মেডিক্যাল কলেজে এর পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরু হবে। এ নিয়ে নীতিমালা তৈরির কাজ চলছে বলেও মন্ত্রী জানান।
চিকিৎসক নেতা, চিকিৎসকদের পেশাজীবী সংগঠনসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
কর্মস্থলে রোগী দেখার ক্ষেত্রে ডাক্তারদের কী কী সুবিধা-অসুবিধা আছে, ডাক্তাররা কোথায় বসবে, কতক্ষণ রোগী দেখবে, তাদের ফি কত হবে এবং কারা কারা রোগী দেখবে এসব বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সব মহলের মতামত নিয়ে নীতিমালা চূড়ান্ত করা হবে বলেও মন্ত্রী জানান।
পরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নে উচ্চপর্যায়ের একটি টিম ও কমিটি গঠন করা হবে এবং ওই কমিটি মন্ত্রণালয়কে সব অবহিত করবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
মূল্যায়ন না করেই সিদ্ধান্তজনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ আবু জামিল ফয়সাল জানান, সরকার এই প্রথমবারের মতো ইন্সটিটিউশনাল প্র্যাকটিসের বিষয়টি সামনে আনলেও ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ২০১১ সাল থেকে রোগীদের বৈকালিক সেবা দেয়া হচ্ছে।
হাসপাতালের কর্মঘণ্টা শেষে ২৬টি বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা শুক্র ও শনিবার বাদে বাকি পাঁচ দিন ২০০ টাকা ভিজিটে রোগী দেখে। এই প্রাকটিস চলে বিকেল পর্যন্ত। এজন্য বেলা আড়াইটা থেকে বহির্বিভাগের বিশেষ সেবার টিকেট বিক্রি শুরু হয়।
সেই বৈকালিক কন্সাল্টেশন আদৌ কতটা ফলপ্রসূ হয়েছে সে বিষয়ে কোনো মূল্যায়ন না করেই সরকারি হাসপাতালে প্রাইভেট প্র্যাকটিস চালু করার সিদ্ধান্ত সঠিক হয়নি বলে জানান তিনি।
আবু জামিল ফয়সাল বলেন, যখন এই সার্ভিস শুরু হয় তখন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, সিনিয়র অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক ও রোগী, সবারই অনেক উৎসাহ ছিল। পরে দেখা যায় সিনিয়র কেউ আর বসে না। তারা জুনিয়র মেডিক্যাল অফিসারদের বসিয়ে দিয়ে আগের প্রাইভেট প্র্যাকটিসের জায়গায় চলে যায়। অর্থাৎ বাস্তবিক অর্থে এই সেবা কার্যকর হয়নি। এই বিষয়গুলো মূল্যায়নের পর সিদ্ধান্ত নেয়া দরকার ছিল।
সেবার মান কি বাড়বে?অভিযোগ রয়েছে সরকারি হাসপাতালের বাইরে প্রাইভেট প্র্যাকটিসের সময় একজন চিকিৎসক যতটা আন্তরিক থাকেন নিজের হাসপাতালে তা দেখা যায় না। আবার অনেক সময় হাসপাতালে না গিয়ে শুধু বেসরকারি চেম্বারে রোগী দেখার অভিযোগও বহুদিনের।
এমন অবস্থায় সরকারি হাসপাতালে প্রাইভেট প্র্যাকটিস চালু হলে অনেক চিকিৎসক এর সুযোগ নিতে পারবে এবং তেমনটা হলে সরকারি হাসপাতালের স্বাস্থ্যসেবা আরো প্রশ্নের মুখে পড়বে বলেও আশঙ্কা করছেন আবু জামিল ফয়সাল।
তিনি বলেন, সরকারি সেবা দেয়ার সময়ে রোগী আসলে ডাক্তার তাদেরকে ‘এখন ব্যস্ত আছি’ বলে প্রাইভেট প্র্যাকটিসের সময় আসতে বলতে পারে। তারপর তিনি এক ঘণ্টা কোনো রকমে রোগী দেখে চলে যেতে পারে প্রাইভেট চেম্বারে। এরপর তাকে দেখাতে হলে প্রাইভেট চেম্বারেই যেতে হবে।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আগের মতো মেডিক্যাল অফিসারদের দিয়ে প্রাইভেট প্র্যাকটিস চালিয়ে নিতে পারে। এতে সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসা সেবার পরিসর ও মান ব্যহত হবে, রোগীরা সরকারি সেবা বঞ্চিত হবে। ফলে এই সিদ্ধান্তে কোনো লাভ হবে না বলে তিনি মনে করেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইন্সটিটিউশনাল প্র্যাকটিসের পরও চিকিৎসকরা বাইরে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করতে পারবে।
সুবিধা হবে কার, রোগীর না ডাক্তারের?বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবার পরিধি বাড়লেও বাস্তবিক অর্থে সেবার মান নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ লেনিন চৌধুরীর মতে, সরকার সামগ্রিক জনগোষ্ঠীকে মানসম্মত চিকিৎসা সেবা দেয়ার পরিবর্তে চিকিৎসকদের প্রাইভেট প্র্যাকটিসকে সহজতর করার ওপর জোর দিচ্ছে।
তিনি বলেন, সরকারের লক্ষ্য হওয়া উচিত দেশের সব মানুষকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা দেয়া। এটা যদি সরকারের নিজস্ব জনবলের মাধ্যমে সম্ভব না হয় সরকারি ও বেসরকারি জনবলের সমন্বয়ে করা দরকার। তাহলে স্বাস্থ্যসেবা খাতের বিকাশ সম্ভব। প্রাইভেট প্র্যাকটিসের বিস্তার ঘটানো সরকারের উদ্দেশ্য হওয়া উচিত না।
তার মতে, আগে ঠিক করা দরকার যে সরকার কত মানুষকে তার নিজস্ব জনবল দিয়ে চিকিৎসা দিতে পারবে। সেটা যদি ৪০ শতাংশ হয়, তাহলে সেই ৪০ শতাংশ মানুষকে যেন মানসম্পন্ন চিকিৎসা দেয়া যায়, সেদিকে নজর দিতে হবে। বাকি ৬০ শতাংশ রোগীকে যদি বেসরকারি চিকিৎসা কেন্দ্রে সেবা নিতে হয় তাহলে সরকারের উচিত হবে সেটার মান নিশ্চিত করা ও সেবার মূল্য নিয়ন্ত্রণ করা। সরকারি খাতে যখন সেবা দেয়া হবে তখন চিকিৎসকের ভিজিট ফি-এর পাশাপাশি স্বাস্থ্য পরীক্ষা, ওষুধ ইত্যাদি সরকারি অর্থে করার ব্যবস্থা করতে হবে।
তিনি বলেন, অন্তত দরিদ্র থেকে অতি দরিদ্র ও প্রতিবছর চিকিৎসা নিতে গিয়ে যে ৬৪ লাখ মানুষ দরিদ্র সীমার নিচে চলে যায়, তাদের জন্য ফ্রি সেবা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। তেমন পরিকল্পনা না করে সরকারি হাসপাতালে প্রাইভেট প্র্যাকটিসের বিস্তার ঘটিয়ে স্বাস্থ্যসেবা খাতে আদৌ কোনো মৌলিক পরিবর্তন আসবে কিনা সেটা নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন।
উন্নত বিশ্বে নজির নেইজনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা নিজের কর্মস্থলে বা বাইরে কোথাও প্রাইভেট প্র্যাকটিস বা ইনস্টিটিউশনাল প্র্যাকটিস করেন এমন কোনো নজির উন্নত দেশগুলোয় নেই। তবে তাদেরকে প্রচুর বেতন দিয়ে ভালো চিকিৎসা দিতে উৎসাহ দেয়া হয়।
সেক্ষেত্রে সরকারি হাসপাতালে যদি অধিকতর রোগীকে সেবা দেয়ার প্রসঙ্গ আসে, তাহলে সেখানকার চিকিৎসকদের প্রাইভেট প্র্যাকটিসের পরিবর্তে বরং প্রাইভেট হাসপাতালের মতো বেতন দেয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন লেনিন চৌধুরী।
আবু জামিল ফয়সালের মতে, কোনো সরকারি চিকিৎসককে সরকারি স্বাস্থ্যসেবার বাইরে কোনো কাজ করতে না দিয়ে তারা যেন পুরো সময়টা গবেষণা ও সরকারি চিকিৎসা সেবায় ব্যয় করতে পারে, এজন্য পর্যাপ্ত আর্থিক সুবিধা দেয়া প্রয়োজন।
তিনি আরো জানান, সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা নিজেদের কর্মস্থলে রোগী দেখার পর আবার বেসরকারি হাসপাতালেও রোগী দেখে। এতে বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা বিকশিত হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে না।
সাধারণত সুচিকিৎসা দেয়ার ক্ষেত্রে একজন ডাক্তারের বিপরীতে তিনজন নার্স, পাঁচজন টেকনোলজিস্টের প্রয়োজন হয়। বাংলাদেশে এই অনুপাত নেই বললেই চলে। সরকারি হাসপাতালে যথেষ্ট জনবল নেই। এ অবস্থায় সরকারি হাসপাতালে প্রাইভেট প্র্যাকটিসে রোগী দেখার সময় ডাক্তার অন্যদের কাছ থেকে কতটা সাহায্য পাবেন তা নিয়ে এই নতুন সিদ্ধান্তে স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এমন আরো বিভিন্ন কল্যাণমুখী পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিদেশে চিকিৎসাগ্রহণের হার কমিয়ে আনা হবে।
বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের তথ্যমতে, বাংলাদেশে সরকারি বেসরকারি মিলিয়ে ছয় হাজার চিকিৎসাকেন্দ্র রয়েছে। এরপরও প্রতিবছর অন্তত পাঁচ লাখ মানুষ বিদেশে চিকিৎসা নেয়।
সরকারি হাসপাতালে মানসম্পন্ন চিকিৎসা সেবার অভাব ও বেসরকারি হাসপাতালে অত্যধিক খরচের কারণে বিদেশে বিশেষ করে ভারতে, চিকিৎসা নিতে যাওয়ার প্রবণতা দিন দিন বাড়ছে।
সূত্র : বিবিসি



RelatedNews

বাংলাদেশ

বিএনপির ছেড়ে দেয়া ৬ আসনে ভোট শুরু

01/02/2023
বাংলাদেশ

এলপিজির জন্য হাহাকার

01/02/2023
বাংলাদেশ

শিক্ষা নিয়ে ব্যবসা করার মানসিকতা পরিহার করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির

31/01/2023
বাংলাদেশ

সেনাবহরে যুক্ত হলো তুরস্কের তৈরি টাইগার মিসাইল

31/01/2023
বাংলাদেশ

আবারো বাংলাদেশের কোচ হলেন হাথুরুসিংহে

31/01/2023
বাংলাদেশ

জনগণ সরকারকে বিদায় করার জন্য রাস্তায় নেমেছে : খন্দকার মোশাররফ

31/01/2023
Load More
Samatal News

সাপ্তাহিক সমতল
সম্পাদক: মুহাম্মদ আলতাফ হোসেন।
নির্বাহী সম্পাদক: আব্দুল নাহিদ মিয়া (নাহিদ মিথুন)

৩২, মায়াকানন, সবুজবাগ, ঢাকা-১২১৪।
Email: samataldesk@gmail.com
Cell: +88-01711237484,
NewsHunt App: https://samatalnews.com/

Follow Us

  • About
  • Contact
  • Terms & Privacy
No Result
View All Result
  • Home
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • প্রতারণা ও দুর্নীতি
  • মতামত
  • সাংবাদিকতা
  • আমার অধিকার
  • সকল গণমাধ্যম
  • App
  • সংবাদ দিন

© 2021 NewsHunt

Welcome Back!

Login to your account below

Forgotten Password?

Create New Account!

Fill the forms below to register

All fields are required. Log In

Retrieve your password

Please enter your username or email address to reset your password.

Log In
  • Total: 85.9K
  • 67.4KSHARES
  • 17.9KTWEETS
  • Viber
  • WhatsApp
  • 652Email
  • Share
  • SHARES
  • TWEETS
  • +1S
  • PINS
  • SHARES
  • Digg
  • Del
  • StumbleUpon
  • Tumblr
  • VKontakte
  • Print
  • Email
  • Flattr
  • Reddit
  • Buffer
  • Love This
  • Weibo
  • Pocket
  • Xing
  • Odnoklassniki
  • ManageWP.org
  • WhatsApp
  • Meneame
  • Blogger
  • Amazon
  • Yahoo Mail
  • Gmail
  • AOL
  • Newsvine
  • HackerNews
  • Evernote
  • MySpace
  • Mail.ru
  • Viadeo
  • Line
  • Flipboard
  • Comments
  • Yummly
  • SMS
  • Viber
  • Telegram
  • JOIN US
  • Skype
  • Messenger
  • Kakao
  • LiveJournal
  • Yammer
  • Edgar
  • Fintel
  • Mix
  • Instapaper

Add New Playlist

Send this to a friend