পাকিস্তানে বিরোধী দলের পক্ষ থেকে আগাম নির্বাচন দেয়ার দাবি ক্রমেই জোরদার হচ্ছে।
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মোহাম্মদ আসিফ আগামী কয়েক মাসের মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন এবং আগাম নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আগামী নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হবে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের সঙ্গে দেখা করার জন্য পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী শাহবাজ শরিফসহ মুসলিমলীগ দলের পদস্থ কর্মকর্তারা লন্ডন সফরে গেছেন।
এদিকে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন তেহরিকে ইনসাফ দল শাহবাজ শরীফ সরকারের বিরুদ্ধে রাজধানী ইসলামাবাদ অভিমুখে মিলিয়ন ম্যান মার্চ করার যে বিরাট পরিকল্পনা নিয়েছে সে ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে হুশিয়ার করে দেয়া হয়েছে।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী আগাম নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের সম্ভাবনার কথা বলেছেন, তা থেকে বোঝা যায় মুসলিম লীগ সরকার তাদের সরকারের সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা প্রমাণ করার চেষ্টা করবে যাতে নির্বিঘ্নে যাতে ক্ষমতায় থাকতে পারে।
গত এপ্রিল মাসে সংসদে ইমরান খান সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীরা অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করে এবং ভোটাভুটিতে ইমরান খান সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায়। ফলে তিনি ক্ষমতা হারান এবং প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শাহবাজ শরীফের ক্ষমতায় আসার পথ খুলে যায়। প্রকৃতপক্ষে, অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপনের মাধ্যমে ইমরান খানকে অপসারণের জন্য শাহবাজ শরীফ ও তার সমর্থকদের পদক্ষেপকে পাকিস্তানের আপামর জনগণ রাজনৈতিক অভ্যুত্থান হিসেবে দেখছে। তাদের দৃষ্টিতে এটি ছিল নিছক ষড়যন্ত্রের ফসল। এ কারনে দেশটির জনগণ ইমরান খানের ক্ষমতাচ্যুতির বিষয়টি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারেনি। ধারণা করা হচ্ছে এ কারণেই নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করে আগাম নির্বাচন দেয়ার গুঞ্জন শুরু হয়েছে। পাকিস্তান সংসদে বিরোধী দলের নেতা মাওলানা ফজলুর রহমান যিনি প্রচণ্ডভাবে ইমরান খান বিরোধী তিনিও আগাম নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি তুলেছিলেন। তবে পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী আগাম নির্বাচনের কথা বললেও প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের অনেকে আবার এ পদক্ষেপের বিরোধী। এ অবস্থায় আগাম নির্বাচন নিয়ে আগামীতে খোদ সরকারের শরীকদের মধ্যে মতবিরোধ তুঙ্গে উঠতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।#
/রেজওয়ান হোসেন/১২
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।