সমতল ডেস্কঃ বাংলাদেশে ইসলামী ব্যাংক থেকে নভেম্বরে তুলে নেওয়া হয়েছে ২ হাজার ৪৬০ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে তিন ব্যাংক থেকে সন্দেহজনক ঋণ ৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকার ঋণ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। চলতি মাসের ১ থেকে ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত শুধু ইসলামী ব্যাংক থেকে দুই হাজার ৪৬০ কোটি টাকা তুলে নেওয়ার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনরকে চিঠি দিয়েছেন ব্যাংকটির পাঁচজন গ্রাহক।
গতকাল ২৭/১১/২০২২ রোববার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনিরসহ ইসলামী ব্যাংকের পাঁচজন গ্রাহক এ চিঠি দেন। অন্য আবেদনকারীরা হলেন- অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াদুদ, অ্যাডভোকেট আবদুল্লাহ সাদিক, শাইখুল ইসলাম ইমরান ও যায়েদ বিন আমজাদ। তাদের চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা সবাই ইসলামী ব্যাংক, বাংলাদেশ লিমিটেডের নিয়মিত গ্রাহক। ইসলামী ব্যাংকের বিভিন্ন শাখায় আমাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। আমরা সাধ্যমতো ইসলামী ব্যাংকের সাথে লেনদেন করে থাকি। ২৪ নভেম্বর জাতীয় দৈনিক পত্রিকার অনুসন্ধানী রিপোর্টে উঠে এসেছে যে, ইসলামী ব্যাংক থেকে নভেম্বর মাসের ১ থেকে ১৭ তারিখ পর্যন্ত ২,৪৬০/- (দুই হাজার চার শত ষাট) কোটি টাকা অসাধুচক্র তুলে নিয়েছে। এই রিপোর্টে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। ব্যাংকের আমানতকারী হিসেবে আমরা উদ্বিগ্ন।” এমতাবস্থায়, এই ধরনের সন্দেহজনক আর্থিক লেনদেনে গ্রাহক হিসেবে সংক্ষুব্ধ বলে জানান তারা।
এ বিষয়ে ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহক ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির গনমাধ্যমকে বলেন, গণমাধ্যমে ইসলামী ব্যাংকের বিষয়ে এমন রিপোর্টে উদ্বিগ্ন সাধারণ গ্রাহকরা। তাই বিষয়টি দ্রুত বাংলাদেশ ব্যাংকের নজরে আনা হয়েছে। তারা কোনো ব্যবস্থা না নিলে উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হওয়ার কথা জানান এই আইনজীবী।
তিনি বলেন, বিষয়টি আমলে নিয়ে গভীরভাবে খতিয়ে দেখার জন্য বিনীত অনুরোধ জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে তদন্ত সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কার্যকর দৃষ্টান্তমূলক আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করার অনুরোধ করা হয়েছে তাদের আবেদনে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ গণমাধ্যমে বলেন, ইসলামী ব্যাংকের ঋণ প্রদানের অনিয়মের বিষয় নিয়ে গণমাধ্যমের প্রতিবেদন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দৃষ্টিগোচর হয়েছে আগেই। তিনি আরও বলেন, এমন বিভিন্ন বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক তার নিয়ম অনুযায়ী তদন্ত বা পর্যবেক্ষণ করে থাকে, এ বিষয়ে গ্রাহকদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নাই।