নাহিদ মিথুনঃ বেতন পাওয়া ও নাপাওয়া সাংবাদিকরা দেড় কোটি টাকা দিয়ে বাড়ি কিনছেন। ফ্ল্যাট কিনছেন, ছেলে মেয়েদের বিদেশে পড়াচ্ছেন, জায়গা কিনছেন, দোকান কিনছেন। গাড়ি কিছেন না কারন ওটা রাস্তায় দেখা যায়। সবক্ষেত্রে না হলেও অনেক ক্ষেত্রে “সংবাদ মাধ্যম” ও “সাংবাদিক” আছে, নাই শুধু “”সংবাদ””!!! পায়ে হেটে, রিক্সায় চড়ে, অন্যের মোটরসাইকেলে চড়ে, পাবলিক বাসে চড়ে, চাকুরী ও ব্যবসা না করে এরা এত টাকা কোথায় পায়? !!! পচন ধরে গেছে সাংবাদিক সমাজের একটা বৃহৎ অংশের।
ভালোরা মার খাচ্ছে, অপমানিত হচ্ছে, মিথ্যা অপবাদ মাথায় নিচ্ছে, মিথ্যা মামলায় জেলে যাচ্ছে, সংবাদ আটকে যাচ্ছে। আর এই পুরো প্রক্রিয়াটা পেছন থেকে সাজায় হলুদ বড়রা, সাথী থাকে মাদক ব্যাবসায়ী, দেহ ব্যাবসায়ীর নেতা ও নানা ধরনের অপরাধীরা। হলুদেরা মারাত্মক সব অপরাধীদের বানাচ্ছে সমাজ সেবক, সমাজপতি আর দরিদ্র ক্ষতিগ্রস্থদের বানাচ্ছে অপরাধী।
গুণী ও সৎ সাংবাদিকের জন্য আইন বাধা নয় বরং তা সহায়ক, কারন তিনি জানেন কোনটি সংবাদ আর কোনটি সংবাদ নয়, তিনি আরও জানেন কিভাবে সংবাদটা লিখতে হয় জনগনের সার্থে কাওকে কষ্ট নাদিয়ে।
“সংবাদ মাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। চার স্তম্ভের একটা ঘুনে ধরে ভেঙ্গে গেলে তিন স্তম্ভে রাষ্ট্রকি সোজা হয়ে দাড়াতে পারবে?”
প্রতিটি রাষ্ট্রেরই প্রয়োজন ভালো সাংবাদিক, কারন তারা রাষ্ট্রের ইন্দ্রিয়।
প্রতিযোগিতা করেই ভালোদের প্রতিষ্ঠিত হতে হবে, এটা প্রচলিত বাক্য, কিন্তু সময়ের মাত্রায় এই বাক্য অকেজো। ভালোদের আর খারাপদের বুদ্ধিমত্তার পার্থক্য থাকে। ভালরা গবেষণা করে বুঝতে পারেন কিভাবে রাষ্ট্রের ও মানুষের কল্যাণ হবে কিন্তু তারা ক্রিমিনাল একটিভিটিতে দক্ষ নন। হলুদেরা ঠিক ভালোর উল্টোটা। তাই হলুদের ফাঁদে সাদারা বিপদগ্রস্থ হন। ভালো, গবেষক ও বিজ্ঞ সাংবাদিকদের প্রয়োজন রাষ্ট্রের পৃষ্টপোষকতা।
ভালোদের খুঁজতে দুদকের ইন্টেলিজেন্ট ইউনিটই যথেষ্ট। সাদা সাংবাদিকেরা রাষ্ট্রের ইন্দ্রিয়। হলুদ রঙের সাংবাদিকের কারনে রাষ্ট্রের পথ চলা হয়ে পরে কষ্টকর, উদ্ভব হয় অপ্রয়োজনীয় মানহীন বিতর্কের। তাই সরকারের কাছে বিশেষ ভাবে অনুরোধ সাংবাদিকদের সার্বিক কার্যক্রম মনিটরিং করার জন্য ” দুর্নীতি দমন কমিশন”-এ একটি বিশেষ ব্রাঞ্চ খোলা হোক। যে ব্রাঞ্চটি তদন্ত সাপেক্ষে নির্দিষ্ট সময় পরপর হলুদ রঙের সাংবাদিকদের তথ্য জনসাধারনের কাছে প্রকাশ করবে। এতে আশা করা যায় রাষ্ট্র শক্তিশালী ইন্দ্রিয় পাবে ও তার পথ চলা মসৃণ হবে।
হলুদেরা খুবই মূর্খ, ইচ্ছা করে ভুলে থাকে: “যে কোনও মুহুর্তে দেহ হবে মাটির আর সকল উপায়ে অর্জিত সম্পদ হবে অন্যের”। হলুদেরা আরও ভুলে থাকে যে সাদা পথেই অনেক উপার্জন সম্ভব। আপডেট হবে……
নাহিদ মিথুনঃ লেখক ও সাংবাদিক
ইমেইলঃ samataldesk@gmail.com