সমতল ডেস্কঃ সকল ভোগ্য পন্য, গাড়ি ভারা, বাড়িভারা ও জীবন রক্ষাকারী অষুধের দাম বাড়লেও বাড়েনি মজুরী ও বেতন যা নিম্ন আয়ের মানুষের জীবনযাত্রাকে অনেক কঠিন করে তুলেছে।
বাংলাদেশের শ্রম আইন ২০০৬ অনুযায়ী বিভিন্ন খাতের শ্রমিকদের নিম্নতম মজুরি নির্ধারণ করা হয়। এই আইনে বলে দেয়া আছে নিম্নতম মজুরি বোর্ড গঠনের পদ্ধতি, মজুরী নির্ধারনে কোন বিষয়গুলো বিবেচনায় নেবে বোর্ডের কাজের পদ্ধতি কি হবে, চুরান্ত প্রতিবেদন তৈরির সময় ইত্যাদি।
বাংলাদেশের শ্রম আইন ২০০৬ Link
সাধারণত শ্রমিকদের জীবনযাপনের ব্যয়, জীবনযাপনের মান, প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন খরচ, উৎপাদনশীলতা এবং দ্রব্যের মূল্য, মূল্যস্ফীতি এগুলোর সঙ্গে কাজের ধরণ অর্থাৎ সেই কাজে ঝুঁকি কতটা আছে এবং মালিক পক্ষের কতটা সামর্থ্য আছে, সেগুলোও বিবেচনায় নিয়ে নূন্যতম মজুরি নির্ধারণ করা হয়। মজুরী নির্ধারনে শ্রম মন্ত্রণালয় নিম্নতম মজুরী বোর্ডের কাছে প্রস্তাবনা পাঠানোর পরে নিম্নতম মজুরি বোর্ড কাজ শুরু করে এবং বোর্ডের দায়িত্ব প্রাপ্তদের পর্যালোচনা শেষে সুপারিশ প্রদান করে। প্রতি পাঁচবছর পর পর নিম্নতম মজুরি পুনর্বিবেচনা করার বিধান রয়েছে শ্রম আইনে।
শ্রম সংগঠনগুলোর তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে ৬ কোটি ৩৫ লাখ শ্রমিক রয়েছে, যারা বিভিন্ন খাতে কাজ করেন। একদিকে বিভিন্ন খাতের শ্রমিকদের মজুরি গত কয়েক বছরে পুনঃনির্ধারণ করা হলেও অনেকগুলো খাতের মজুরির কোন পরিবর্তন হয়নি আবার অন্যদিকে ফ্যাক্টারির মালিক গন রাষ্ট্র আইন শ্রম আইন ভঙ্গের কারনে বিভিন খাতের শ্রমিকরা কারখানা মালিকদের দ্বারা শোষিত হচ্ছে ব্যপক ভাবে।
“ফার্মাসিউটিক্যালস” শিল্প সেক্টরের শ্রমিক ও কর্মচারীগণের জন্য, নিম্নতম মজুরির লিঙ্কঃ Click Here
পাবনা জেলায় এক অনুসন্ধানে জানা গেছে শত শত শ্রমিক সরকার কর্তৃক নির্ধারিত বেতন পাচ্ছেন না। রাষ্ট্র নির্ধারিত বাড়ি ভারা ভাতা, যাতায়াত ভাতা, চিকিৎসা ভাতা, অবসর ভাতা তো দুরের কথা ১৩০ টাকা থেকে ১৬০ টাকা হাজিরা শুক্রবার ও অন্যান্য ছুটির দিনের জন্য কোন বেতন-মজুরী নাই; তার পরেও কয়েক মাস বেতন পায়না। বেতন চাইতে গেলে ফ্যাক্টারি মালিকদের নিয়ন্ত্রিত মাস্তান দিয়ে হুমকি প্রদান, মারধর ও বহিস্কার।
এমনও জানা গেছে একটি ফ্যাক্টারির মালিক প্রায় ২০০ কর্মচারিকে ৪ মাসের বেতন না দিয়ে বিদায় করে দিয়েছে, কিন্ত পিকনিক বাবদ ৩৬ সদস্যের একটি সংগঠনের সেক্রেটারিকে দিয়েছে লক্ষাধিক টাকা। এসকল ফ্যাক্টারির মালিকরা এই ভয়ঙ্কর অন্যায়ের আইনগত জটিলতা এড়াতে হাজার হাজার শ্রমিকদের কোনও চাকুরীর নিয়োগপত্র দেয় না। টাকার অভাবে শ্রমিকরা বা তার পরিবারের সদস্য বিনাচিকিৎসায় মারা গেলেও ফ্যাক্টারির মালিকরা চালায় দামি একাধিক গাড়ি, থাকে আলিশান বাড়িতে, বাড়ায় ব্যবসা, কেনে জমি তাদের ছেলে মেয়েরা পড়ে বিদেশে।
শ্রম আদালত
বাংলাদেশ সরকার ক্ষতিগ্রস্থ শ্রমিক ও গরীব জনসাধারনকে বিনামূল্যে আইনি সহায়তা প্রদান করেন।
ক্ষতিগ্রস্থ শ্রমিকেরা ও গরীব জনসাধারন যে ভাবে বিনা মুল্যে সরকারী সেবা পাবেন: Link
ক্ষতিগ্রস্থ শ্রমিকেরা ও গরীব জনসাধারন বিনা মুল্যে সরকারী সেবা পেতে যেখানে যোগাযোগ করবেন লিঙ্ক (মোবাইল নম্বর সহ): Link