পাবনা জেলা আওয়ামীলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা, দলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া

সমতল ডেস্কঃ  ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের এক বছর পর পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের ৯৩ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্র। রোববার দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এই কমিটির অনুমোদন দেন। প্রায় সাত বছর পর ২০২২ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে সর্বশেষ বিলুপ্ত কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল রহিম লালকেই সভাপতি এবং সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্সকে পুণরায় সাধারণ সম্পাদক করা হয়।

নতুন কমিটি অনুমোদনের বিষয়টি জানার পর থেকেই দলের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে। জেলা আওমালীগে  হেভিওয়েট পদ পেয়ে অনেকেই এই কমিটিকে গ্রহণ করলেও পদ হারনো পুরানো  নেতাদের  কেউ কেউ ক্ষুব্ধ হয়েছেন। পাবনা-৫ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স নবগঠিত এই কমিটি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে আমাদের মতামত উপেক্ষা করা হয়েছে। দলের ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাদের সঠিক মূল্যায়ন করা হয়নি। জেষ্ঠ্য নেতাদের পদ নিচে নামিয়ে কনিষ্ঠদের বড় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমরা খুব বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে আছি।’

তবে সদ্য ঘোষিত কমিটিতে সহ সভাপতি পদ পাওয়া অ্যাডভোকেট বেলায়েত আলী বিল্লু কমিটি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

 

এদিকে বিলুপ্ত কমিটির পাবনা জেলা আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক মোঃ কামিল হোসেনকে নতুন কমিটিতে সাধারন সদস্য পদ দেওয়া হয়েছে। ক্ষোভ প্রকাশ করে কামিল হোসেন বলেন পাবনা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি-সেক্রেটারিকে নাজানিয়ে হঠাৎ করে একটি কমিটি প্রকাশ করা হয়, এই কমিটিতে জ্যেষ্ঠদের কে টেনে-হিঁচড়ে নিচে নামানো হয়েছে, যাদেরকে আমরা চিনিই না তাদেরকে এই কমিটিতে স্থান দেওয়া হয়েছে, হাইব্রিডদের এই কমিটিতে স্থান দেওয়া হয়েছে, পর পর তিনবার জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে এই কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

 

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল রহিম লাল বলেন, ‘কমিটি অনুমোদনের বিষয়টি শুনেছি। তবে এখনো হাতে পাইনি। তাই কোনো মন্তব্য করতে চাচ্ছি না।

নতুন ঘোষিত ৯৮ সদস্যের কমিটিতে ২৩ জনকে উপদেষ্টা ও ৩৬ জনকে সদস্য করা হয়েছে। কমিটিতে যাদের নাম অনুমোদন দেওয়া হয়েছে তারা হলেন-সভাপতি রেজাউল রহিম লাল, সহসভাপতি মকবুল হোসেন এমপি, আ স ম আব্দুর রহিম পাকন, অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন সাকো, অ্যাডভোকেট বেলায়েত আলী বিল্লু, চন্দন কুমার চক্রবর্তী, আজিজুল হক আরজু, তোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী, আবু ইসহাক শামীম, এমদাদ আলী বিশ্বাস ভুলু, আহম্মেদ ফিরোজ কবির এমপি ও মনির উদ্দিন আহমেদ মান্নান। সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স এমপি, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান মিন্টু, অ্যাডভোকেট আব্দুল আহাদ বাবু ও কামরুজ্জামান উজ্জ্বল। আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সামাদ খান রতন, কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক রাকীব হাসান টিপু, তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক জামিরুল রহমান মাইকেল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল আলীম (ভাঙ্গুড়া), মহিলাবিষয়ক সম্পাদক মাহাজেবিন শরীফ পিয়া, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, শিক্ষা ও মানব সম্পদবিষয়ক সম্পাদক মশিউর রহমান, শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সাহাব উদ্দিন সবুজ, শ্রমবিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ আলী জিরু, সাংস্কৃতিক সম্পাদক শ্রী প্রলয় চাকী, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. আব্দুল আওয়াল। সাংগঠনিক সম্পাদক বিজয় ভূষণ রায়, গালিবুর রহমান শরীফ ও আব্দুল হান্নান। উপদপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট সাবিত ফয়সাল রিজভী শাওন, উপপ্রচার ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন তফা এবং কোষাধ্যক্ষ লিয়াকত আলী তালুকদার। সদস্যরা হলেন-অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু এমপি, নুরুজ্জামান বিশ্বাস এমপি, নাদিরা ইয়াসমিন জলি এমপি, অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন (নগরবাড়ী), শহিদুল্লাহ সহিদ, আব্দুল বারি বাকী, বশির আহমেদ বকুল, ড. মজিবর রহমান, মো. রশিদুল্লাহ, অ্যাডভোকেট শাহ আলম, খ ম হাসান কবির আরিফ, খন্দকার মো. কামরুজ্জামান মাজেদ, আব্দুল হামিদ মাস্টার, কামিল হোসেন, বাকি বিল্লাহ, মোশাররফ হোসেন, সোহেল হাসান শাহীন, রফিকুল ইসলাম রুমন, অ্যাডভোকেট তসলিম হাসান সুমন, মাযহার মানিক, আব্দুল মতিন খান, মোস্তাক আহমেদ আজাদ, শেখ সুরাইয়া, সরদার মো. ফারুক হোসেন, আনোয়ারা, আবু সাঈদ খান, তৌফিকুল আলম তৌফিক, শরীফ উদ্দিন প্রধান, আলী মুতর্জা বিশ্বাস সনি, আব্দুল আজিজ খান, আব্দুল হান্নান শেলী, বাদল কুমার ঘোষ, সাকিবুর রহমান শরীফ কনক, মো. কামরুজ্জামান বিশ্বাস (জিপু), ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল আলীম (ঈশ্বরদী) এবং সেলিম রেজা সুইট।

উপদেষ্টা পরিষদ-খন্দকার জাহাঙ্গীর কবির রানা, অ্যাডভোকেট রবিউল আলম বুদু, মুহম্মদ ইসমাইল হোসেন, পাঞ্জাব আলী বিশ্বাস, একেএম শামসুদ্দিন, শামসুর রহমান মানিক, অ্যাডভোকেট তোরাব আলী খান, অ্যাডভোকেট বেলায়েত আলী বিল্লু, আব্দুল মতিন খান, ড. গোলাজার হোসেন, সাজেদুর রহমান নীলু, মেজর জেনারেল (অব.) ফসিউর রহমান, সেলিনা পারভীন বকুল, কানিজ ফাতেমা পুতুল, প্রভাষক আমিরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট খন্দকার আব্দুল জাহিদ রানা, অ্যাডভোকেট ওবায়দুল হক, ফজলুর রহমান মাসুদ, অ্যাডভোকেট আক্তারুজ্জামান মুক্তা, এনামুল হক টগর, অ্যাডভোকেট হোসেন শহীদ সোরাওয়ার্দী, মোক্তার হোসেন এবং আব্দুল মতিন (সুজানগর)।

Send this to a friend