সমতল ডেস্কঃ শতবর্ষের ঐতিহ্যবাহী রেলওয়ের বিভাগীয় শহর ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী ইউনিয়নের ‘রূপপুরে’ চলছে পরমাণু বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিশাল কর্মযজ্ঞ। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প নির্মাণ এখন চূড়ান্ত ধাপে। রাশিয়ার থেকে সমুদ্রপথে আনা হয় ভারী যন্ত্রাংশ। পরিবহনে সড়ক এবং নৌপথের পাশাপাশি এবার যুক্ত হচ্ছে রেলপথ। ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য সিগন্যালিংসহ রেললাইন সংস্কার ও নির্মাণ’ শীর্ষক একটি প্রকল্প প্রস্তাব করে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। ২০১৮ সালের ১০ই এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে মোট ব্যয় হয়েছে ৩৩৫ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের জন্য সুষ্ঠু পরিবহণ ব্যবস্থা স্থাপনের লক্ষ্যে ঈশ্বরদীর বাইপাস টেকঅফ পয়েন্ট থেকে রূপপুর প্রকল্প পর্যন্ত রেল যোগাযোগ স্থাপন করতে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
বন্দর থেকে সরাসরি প্রকল্প এলাকায় মালামাল পরিবহনের জন্য ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশন থেকে রূপপুর পারমাণবিক পর্যন্ত ২৬ দশমিক ৫২ কিলোমিটার ডুয়েলগেজ রেললাইন, ১৩টি লেভেল ক্রসিং গেট, রূপপুর নামে অত্যাধুনিক নতুন স্টেশন, একটি প্লাটফর্ম বানানো হয়েছে।
এ প্রকল্পের আওতায় সংস্কারের মুখও দেখেছে শতবর্ষী ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনটি। পুরনো আমলে তৈরি নিচু প্লাটফর্মটি উঁচু, ম্যানুয়াল পদ্ধতি বাদ দিয়ে কম্পিউটারইজ সিগনালিং সিস্টেম। এতে ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার সম্ভাবনা কম। নির্মাণ করা হয়েছে ঈশ্বরদী লোকোমোটিভ কারখানায় ডকপিট, ডুয়েলগেজ ইঞ্জিনে কোনো ক্রুটি আছে কি-না, তা পরীক্ষা করা যাবে।
রূপপুরের মালামাল ছাড়াও মংলা ও চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সরাসরি পণ্য পরিবহনে এই রেলপথে বড় অংকের রাজস্ব আয়ের আশা করছে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের।
যা আজ বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টায় ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবুজ পতাকা নেড়ে তিনবার বাশী বাজিয়ে দীর্ঘ প্রতিক্ষার এই প্রকল্প উদ্বোধন করলেন। এই উদ্ভদনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ভাষা শহীদ, জাতীয় চার নেতা, দুই লক্ষ্য মা-বোন ও মুক্তি যোদ্ধাদের প্রতি সশ্রদ্ধ সালাম জানান। এরপর তিনি বেদনার সাথে স্মরণ করেন ১৯৭৫ সালে ১৫ই আগষ্টে জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ তার পরিবারের যে ১৮ জন সদস্যকে নির্মম্ভাবে হত্যা করা হয়।
এরপর প্রধানমন্ত্রী তার ভাষনে এই প্রকল্পের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
এরপর দেশ ও জাতীর কল্যানে আল্লাহ্র দরবারে মোনাজাতের মাধ্যমে উদ্ভোদনী অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।