সমতল ডেস্কঃ জীবনের ঝুকি নিয়ে জননিরাপত্তায় কাজ করে চলেছে পাবনা জেলা পুলিশ, সাথে রয়েছে আরও রাষ্ট্র কর্তৃক অর্পিত দায়িত্ব। কিছুদিন আগে পাবনা পুলিশ সুপার মোঃ আকবর আলী মুনসীর নির্দেশনায় এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ মাসুদ আলম এর নেতৃত্তে এক মারাত্মক ঝুকিপুর্ন অভিযানে গুলি ভর্তি ভারি অস্ত্র ও খুনিদের গ্রেপ্তার করে পাবনা পুলিশ।
এবার মানবতার ইতিহাস গড়লো পাবনা পুলিশ।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর২০২২ খ্রিঃ তারিখে সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে হেমায়েতপুর এলাকায় বের হন লিমন। রাত আনুমানিক ১ টার দিকে শাহদিয়ার নামক স্থানে খড়ি বোঝাই একটি ট্রলি সিএনজি অটোরিকশাকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই চালক শাহেদ আল মাহমুদ লিমনের (২৫) মৃত্যু হয়।লিমন ছিলেন তার পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যাক্তি। বাবা প্যারালাইসিস রোগী সেই সাথে ২ বছরের শিশু সন্তান নিয়ে লিমনের পরিবার তার স্ত্রী এবং মা চরম দূর্দশাগ্রস্ত জীবন যাপন করছেন। অর্থনৈতিক দিক থেকে তার পরিবার খুবই অসচ্ছল।
মানবিক দিক বিবেচনা করে পাবনা জেলার পুলিশ সুপার মোঃ আকবর আলী মুনসী আন্তরিক প্রচেষ্টায় ও উদ্যোগে অদ্য ৩০ নভেম্বর ২০২২ খ্রিঃ তারিখে উক্ত ঘটনায় নিহত সিএনজি অটোরিক্সা চালক শাহেদ আল মাহমুদ লিমনের পরিবারের সদস্যদের মাঝে একটি অটোরিকশা এবং নগদ ৪৫,০০০/- টাকা হস্তান্তর করেন।
এসময় দূর্ঘটনায় পতিত ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত সিএনজি মেরামতের জন্য পুলিশ সুপার মোঃ আকবর আলী মুনসী আশ্বাস প্রদান করেন। যাতে করে সিএনজি ও অটোরিকশা ভাড়া দিয়ে লিমনের পরিবার সচ্ছলভাবে চলতে পারে।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন মোঃ মাসুদ আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) সহ অন্যান্য অফিসারবৃন্দ ।
নিহত শাহেদ আল মাহমুদ লিমনের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তার স্ত্রী-আফসানা বেগম,বোন-নাজমুস সাবা খুশবু, মা- জীবন নাহার বেগম, বোনজামাই-মোঃ আকরাম হোসেনসহ কাছের আত্মীয়-স্বজন।