যা নিরাপদ নয় তা খাদ্য নয়!
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমান অনুযায়ী বিষ, রাসায়নিক পদার্থ, ভাইরাস, ব্যাক্টেরিয়া ও পরজীবী দ্বারা দুষিত/বিষাক্ত খাদ্য খেয়ে প্রতি বছর ৬০,০০০০০০০০ বা ১০ জনের ১ জন মানুষ অসুস্থ হয় ও ৪.২০,০০০ মানুষ মৃত্যু বরন করে। তবে এ সংখ্যা খুবই সামান্য, কারন খাদ্যের কারনে অসুস্থ হওয়ার তথ্য বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই অনুপস্থিত। যখন খাদ্য নিরাপদ নয়, তখন মানুষ এর পুষ্টিগুণ থেকে উপকৃত হতে পারে না এবং বৃদ্ধি ও বিকাশিত হতে পারে না। খাদ্যে রাসায়নিক দূষণ তীব্র বিষক্রিয়া বা ক্যান্সারের মতো দীর্ঘমেয়াদী রোগের দিকে নিয়ে যেতে পারে। FAO এবং WHO বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তা এবং ভোক্তাদের স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কাজ করে। WHO খাদ্য জনিত রোগের প্রকোপ কমাতে জনস্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট দপ্তর গুলোর সাথে কাজ করে।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)বলছে খাদ্য নিরাপত্তার ৪টি পিলার বা স্তম্ভ আছে যথা-
১) সহজলভ্যতা (availability),
২) প্রবেশাধিকার (access),
৩) উপযোগিতা (utilization) ও
৪) স্থিতিশীলতা( stability
বিস্তারিত দেখুন এখানে> Click here
বাংলাদেশে শুধু নয় সারা বিশ্বে নিরাপদ খাদ্য ভোক্তার অধিকার হিসাবে রাষ্ট্র নিশ্চিত করবে।নিরাপদ খাদ্য ভোক্তার অধিকার বলে গণ্য হয়। পৃথিবীর প্রতিটি দেশ নিরাপদ খাদ্যকে ভোক্তার অধিকার হিসেবে নেয় এবং এর ব্যত্যয় সেসব দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ বিবেচিত হয়।
নিরাপদ খাদ্য নিয়ে যারা কাজ করেন তাদের জন্য
WHO
FAO
WFP
বিশ্বে খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টির অবস্থা 2021
The world is at a critical juncture
FAO: যা নিরাপদ নয় তা খাদ্য নয়
Food safety Key facts
Food safety and quality
INFOSAN
coming more….
জাতিসংঘ
জাতিসংঘের সর্বজনীন ঘোষণার আলোকে ১৯৬৬ সালে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সংস্কৃতিবিষয়ক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যার ১১ নম্বর অনুচ্ছেদে খাদ্য অধিকারকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের অংশ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়েছে।
এ চুক্তিতে খাদ্য অধিকারকে ব্যাখ্যা করা হয়েছে এভাবে- খাদ্যের প্রাপ্যতা : সব মানুষের খাদ্য পাওয়ার ব্যবস্থা থাকা; খাদ্যের স্থিতিশীলতা : খাদ্যপ্রাপ্তির বিষয়টি স্থিতিশীল রাখা; খাদ্যের অভিগম্যতা : সব মানুষের জন্য শারীরিক ও অর্থনৈতিক চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত খাদ্যপ্রাপ্তির নিশ্চয়তা; খাদ্যের স্থায়িত্বশীলতা : বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য পর্যাপ্ত খাদ্যের জোগান নিশ্চিত করা; খাদ্যের পর্যাপ্ততা : মানুষের পুষ্টি চাহিদা পূরণে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্যের জোগান নিশ্চিত করা, যা ক্ষতিকর পদার্থমুক্ত ও সাংস্কৃতিকভাবে গ্রহণযোগ্য।
জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত মৌলিক মানবাধিকারসমূহ (ঘোষণাপত্র, ১৯৪৮) এর অনুচ্ছেদ ২৫ এ লেখা আছেঃ
১. খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিত্সা ও প্রয়োজনীয় সমাজ কল্যাণমূলক কার্যাদির সুযোগ এবং এ সঙ্গে পীড়া, অক্ষমতা, বৈধব্য, বার্ধক্য অথবা জীবনযাপনে অনিবার্যকারণে সংঘটিত অন্যান্য অপারগতার ক্ষেত্রে নিরাপত্তা এবং বেকার হলে নিরাপত্তার অধিকার সহ নিজের এবং নিজ পরিবারের স্বাস্থ্য এবং কল্যাণের জন্য পর্যাপ্ত জীবনমানের অধিকার প্রত্যেকেরই রয়েছে।
২. মাতৃত্ব এবং শৈশবাবস্থায় প্রতিটি নারী এবং শিশুর বিশেষ যত্ন এবং সাহায্য লাভের অধিকার আছে। বিবাহবন্ধন-বহির্ভূত কিংবা বিবাহবন্ধনজাত সকল শিশু অভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তা ভোগ করবে। Click Here For Details
INFOSAN
The International Food Safety Authorities Network (INFOSAN) is a global voluntary network of national authorities with a role in food safety, coordinated by a joint FAO/WHO Secretariat. National authorities of almost all of FAO and WHO Member States are part of the network. FAO and WHO have complementary roles in the management of INFOSAN.
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান
১৫৷ রাষ্ট্রের অন্যতম মৌলিক দায়িত্ব হইবে পরিকল্পিত অর্থনৈতিক বিকাশের মাধ্যমে উৎপাদনশক্তির ক্রমবৃদ্ধিসাধন এবং জনগণের জীবনযাত্রার বস্তুগত ও সংস্কৃতিগত মানের দৃঢ় উন্নতিসাধন, যাহাতে নাগরিকদের জন্য নিম্নলিখিত বিষয়সমূহ অর্জন নিশ্চিত করা যায়:
(ক) অন্ন, বস্ত্র, আশ্রয়, শিক্ষা ও চিকিৎসহ জীবনধারণের মৌলিক উপকরণের ব্যবস্থা;
(খ) কর্মের অধিকার, অর্থাৎ কর্মের গুণ ও পরিমাণ বিবেচনা করিয়া যুক্তিসঙ্গত মজুরীর বিনিময়ে কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তার অধিকার;
(গ) যুক্তিসঙ্গত বিশ্রাম, বিনোদন ও অবকাশের অধিকার; এবং
(ঘ) সামাজিক নিরাপত্তার অধিকার, অর্থাৎ বেকারত্ব, ব্যাধি বা পঙ্গুত্বজনিত কিংবা বৈধব্য, মাতাপিতৃহীনতা বা বার্ধক্যজনিত কিংবা অনুরূপ অন্যান্য পরিস্থিতিজনিত আয়ত্তাতীত কারণে অভাবগ্রস্ততার ক্ষেত্রে সরকারী সাহায্যলাভের অধিকার৷
১৬৷ নগর ও গ্রামাঞ্চলের জীবন যাত্রার মানের বৈষম্য ক্রমাগতভাবে দূর করিবার উদ্দেশ্যে কৃষিবিপ্লবের বিকাশ, গ্রামাঞ্চলে বৈদ্যুতীকরণের ব্যবস্থা, কুটিরশিল্প ও অন্যান্য শিল্পের বিকাশ এবং শিক্ষা, যোগাযোগ-ব্যবস্থা ও জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নের মাধ্যমে গ্রামাঞ্চলের আমূল রূপান্তরসাধনের জন্য রাষ্ট্র কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন৷
বিস্তারিত দেখুনঃ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান
OHCHR এবং খাদ্যের অধিকার
See Details Here See More Here
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাঃ নিরাপদ খাদ্য প্রাপ্তি মানুষের সাংবিধানিক অধিকার
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নিরাপদ খাদ্য প্রাপ্তি মানুষের সাংবিধানিক অধিকার। মানুষের এ অধিকার পূরণকল্পে আওয়ামী লীগ সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। খাদ্য উৎপাদন ও পুষ্টি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকার গবেষণার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে। ‘জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস-২০২২’ উপলক্ষ্যে ১লা ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ সব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, খাদ্য উৎপাদন থেকে ভোক্তা পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে খাদ্যের নিরাপত্তা ও পুষ্টিমান বজায় রাখা জরুরি। দেশের প্রত্যেক মানুষ খাদ্য নিরাপত্তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। যিনি উৎপাদন প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত, তার যেমন সচেতনতা প্রয়োজন; তেমনি যিনি ভোগ করবেন তার ক্ষেত্রেও নিরাপত্তার বিষয়টি অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। তাই সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানকে একযোগে কাজ করতে হবে। জনগণের পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণের প্রত্যয় নিয়ে পঞ্চমবারের মতো ‘জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস-২০২২’ পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। দিবসটির এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘সুস্বাস্থ্যের মূলনীতি, নিরাপদ খাদ্য ও স্বাস্থ্যবিধি’ যথাযথ হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, সবার জন্য খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনের পাশাপাশি জনগণের জন্য নিরাপদ খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে। ভেজাল ও দূষণমুক্ত নিরাপদ খাদ্যের প্রাপ্তির জন্য আমরা ‘নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩’ প্রণয়ন করে ২০১৫ সালে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করা হয়। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি, ভেজাল ও দূষণবিরোধী অভিযান পরিচালনা ও দেশি-বিদেশি সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে সফলতার সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে। Source: Jugantor
নিরাপদ খাদ্য আইন
নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩-এ যেসব বিধিনিষেধ ভোক্তাদের নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতের জন্য আরোপ করা হয়েছে তা হলোঃ
(ক) খাদ্যে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর যেকোনো বিষাক্ত দ্রব্যের ব্যবহার না করা।
(খ) খাদ্যে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে আইনে নির্ধারিত মাত্রার অতিরিক্ত তেজস্ক্রিয় বা ভারী ধাতু ব্যবহার না করা।
(গ) প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ভেজাল খাদ্য বা খাদ্য উপকরণ উৎপাদন, আমদানি, বিপণন ইত্যাদি না করা।
(ঘ) প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে নিম্নমানের খাদ্য উৎপাদন না করা।
(ঙ) খাদ্যে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে নির্ধারিত মাত্রার অতিরিক্ত সংযোজন দ্রব্য বা প্রক্রিয়াকরণ সহায়ক দ্রব্যের ব্যবহার না করা।
(চ) শিল্প কারখানায় ব্যবহৃত তেল, বর্জ্য, ভেজাল বা দূষণকারী দ্রব্য ইত্যাদি খাদ্য স্থাপনায় না রাখা।
(ছ) প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে মেয়াদ উত্তীর্ণ খাদ্যদ্রব্য বা খাদ্য উপকরণ আমদানি, প্রক্রিয়াকরণ, মজুদ, সরবরাহ বা বিক্রি না করা।
(জ) প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে নির্ধারিত মাত্রার অতিরিক্ত কীটনাশক বা বালাইনাশকের ব্যবহার না করা।
(ঝ) প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে অনুমোদন গ্রহণ ব্যতিরেকে বংশগত বৈশিষ্ট্য পরিবর্তনকৃত খাদ্য, জৈব খাদ্য, ব্যবহারিক খাদ্য, স্বত্বাধিকারী খাদ্য উৎপাদন না করা।
(ঞ) প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে আইনের অধীন নির্ধারিত পদ্ধতিতে মোড়কীকরণ ও লেবেলিং না করা;
(ট) মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বিবেচিত প্রক্রিয়ায় খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন না করা;
(ঠ) রোগাক্রান্ত বা পচা মৎস্য, মাংস, দুগ্ধ বিক্রি না করা;
(ড) হোটেল রোস্তরাঁ বা ভোজনস্থলে নির্ধারিত মানদণ্ডের ব্যত্যয়ে পরিবেশন সেবা প্রদান না করা;
(ঢ) ছোঁয়াচে ব্যাধিতে আক্রান্ত ব্যক্তি দিয়ে খাদ্যদ্রব্য প্রস্তুত, পরিবেশন বা বিক্রি না করা;
(ণ) প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে নকল খাদ্য উৎপাদন বা বিক্রি না করা;
(ত) খাদ্য ব্যবসায়ী কর্তৃক আমদানি, উৎপাদন ও বিক্রির রসিদ সংরক্ষণ করা।
(থ) নিবন্ধন ব্যতিরেকে খাদ্যের আমদানি, উৎপাদন ও বিক্রি না করা।
(দ) খাদ্য ব্যবসায়ী কর্তৃক খাদ্যসংশ্লিষ্ট যেকোনো বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে সহায়তা দান।
(ধ) খাদ্যদ্রব্য বিপণন বা বিক্রির উদ্দেশ্যে বিজ্ঞাপনে অসত্য বা বিভ্রান্তিকর তথ্য না দেয়া।
(ন) খাদ্যদ্রব্যের গুণগত মানবিষয়ক যেকোনো ধরনের মিথ্যা বিজ্ঞাপন প্রস্তুত, মুদ্রণ বা প্রচার থেকে বিরত থাকা।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এ যেসব কার্যকলাপকে অপরাধ গণ্য করা হয়েছে তা হলোঃ
(ক) আইন ও বিধি দ্বারা নির্ধারিত হওয়া সত্ত্বেও পণ্যে মোড়ক ব্যবহার না করা।
(খ) মূল্যের তালিকা প্রদর্শন না করা।
(গ) সেবার মূল্যের তালিকা সংরক্ষণ ও প্রদর্শন না করা। ধার্যকৃত মূল্যের অধিক মূল্যে পণ্য, ঔষধ বা সেবা বিক্রি করা।
(ঘ) ভেজাল পণ্য বা ঔষধ বিক্রি করা।
(ঙ) খাদ্যপণ্যে নিষিদ্ধ দ্রব্য মিশ্রণ করা।
(চ) মিথ্যা বিজ্ঞাপন দিয়ে ক্রেতাসাধারণকে প্রতারিত করা।
(ছ) প্রতিশ্রুত পণ্য বা সেবা যথাযথভাবে বিক্রি বা সরবরাহ না করা।
(জ) ওজনে কারচুপি করা।
(ঝ) বাটখারা বা ওজন পরিমাপক যন্ত্রে প্রকৃত ওজন অপেক্ষা অতিরিক্ত ওজন প্রদর্শন করা।
(ঞ) পরিমাপে কারচুপি করা।
(ট) দৈর্ঘ্য পরিমাপক কার্যে ব্যবহৃত পরিমাপক ফিতা বা অন্য কিছুতে কারচুপি করা।
(ঠ) পণ্যের নব প্রস্তুত বা উৎপাদন করা।
(ড) মেয়াদ উত্তীর্ণ কোনো পণ্য বা ঔষধ বিক্রি করা।
(ঢ) সেবাগ্রহীতার জীবন বা নিরাপত্তা বিপন্নকারী কার্য করা এবং
(ণ) অবহেলা, দায়িত্বহীনতা বা অসতর্কতা দিয়ে সেবাগ্রহীতার অর্থ, স্বাস্থ্য বা জীবনহানি ঘটানো। মামলা ও বিচার হবে কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর ১৮৯৮ অনুযায়ী, আইনে যা-ই থাকুক না কেন, সরকার বা নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিনিধি, নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক এই আইনের অধীনে লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আইনের অধীন কোনো অপরাধ বিচারার্থে বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত আমলে নিতে পারবেন।
আইনে বলা হয়েছে, কোনো অপরাধ সংঘটনের সঙ্গে সঙ্গে আইনের ৪৯ ধারার অধীন স্থাপিত বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের স্থানীয় সীমার মধ্যে লিখিত মামলা দায়ের করবেন। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ দিনে বা রাতে যেকোনো সময় অপরাধীকে গ্রেপ্তারের জন্য পরোয়ানা জারি করতে পারবে। অভিযোগ দায়েরের ৯০ দিনের মধ্যে অভিযোগপত্র দাখিল করা না হলে মামলাটি নিরাপত্তা খাদ্য কর্তৃপক্ষের বিবেচনার জন্য উপস্থাপিত হবে এবং তারা এ অপরাধের তদন্ত কার্যক্রম পর্যালোচনা করবে।
জরিমানা ও শাস্তি
গুরুত্বপূর্ণ বাধ্যবাধকতা হিসাবে আইনে বলা হয়েছে যে, মেয়াদোত্তীর্ণ কোনো মাছ, খাদ্য বা পশুখাদ্য বা খাদ্যপণ্য আমদানি বা মজুদ বা বিতরণ বা বিক্রয় করা যাবে না। যদি কোনো ব্যবসায়ী মনে করেন, তিনি যেসব খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন বা প্রক্রিয়াকরণ বা সরবরাহ বা বিক্রয় করেছেন, সেগুলোর ক্ষেত্রে কোনো আইন বা বিধি মানা হচ্ছে না, ভোক্তার জন্য অনিরাপদ, তবে তার কারণ উল্লেখ করে তিনি তা দ্রুত সন্দেহজনক ও প্রশ্নবিদ্ধ খাদ্যদ্রব্য বাজার বা ভোক্তার কাছ থেকে প্রত্যাহারের ব্যবস্থা করবেন এবং উপযুক্ত কর্তৃপক্ষকে তা জানাবেন।
জরিমানা ও শাস্তির বিধান আরো সুনির্দিষ্ট যেমন জীবননাশক বা মানবস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কোনো রাসায়নিক বা ভারী ধাতু বা বিষাক্ত দ্রব্য মিশ্রিত কোনো খাদ্যদ্রব্য উত্পাদন, আমদানি, প্রস্তুত, মজুদ, বিতরণ, বিক্রয় বা বিক্রয়ের অপচেষ্টা করলে অনূর্ধ্ব সাত বছরের কারাদণ্ড বা অনধিক ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড হবে। পুনরায় একই অপরাধ করলে সাত বছর থেকে অনূর্ধ্ব ১৪ বছরের কারাদণ্ড বা অন্যূন ১০ লাখ টাকা জরিমানা।
এছাড়া- দূষণ মিশ্রিত কোনো খাবার বিক্রি করলে।
ভেজাল খাবার বিক্রয় বা বিক্রয়ের অপচেষ্টা করলে।
হোটেল বা রেস্তোরাঁ বা প্রতিষ্ঠানের অবহেলা,
মিথ্যা বা হয়রানিমূলক মামলা করলে,
শর্ত ভঙ্গ করে কোনো খাদ্যদ্রব্য মজুদ বা প্রস্তুত করলে,
অনুমোদিত ট্রেডমার্ক বা ট্রেডনামে বাজারজাত করা কোনো খাদ্যপণ্য নকল করে বিক্রয়ের চেষ্টা করলে,
খাদ্যদ্রব্য উত্পাদন বা সংরক্ষণের স্থানে শিল্প-কারখানার তেল বা খনিজ বা বর্জ্য থাকার অনুমোদন দেওয়াসহ
এমন ২০ ধরনের অপরাধের জন্য অনূর্ধ্ব সাত বছর থেকে কমপক্ষে দুই বছর শাস্তি এবং অনধিক ১০ লাখ টাকা অথবা কমপক্ষে তিন লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। একই অপরাধ পুনরায় করলে শাস্তি ও জরিমানার পরিমাণ আরও বাড়ানোর বিধান রাখা হয়েছে।
নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩ এর কতিপয় ধারা
খাদ্য আদালত, অভিযোগ, বিচার, ইত্যাদি
খাদ্য আদালত নির্ধারণ, ক্ষমতা ও এখতিয়ার |
৬৪। (১) এই আইনের অধীন অপরাধ বিচারের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক আদালত থাকিবে যাহা বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত নামে অভিহিত হইবে।
(২) ফৌজদারী কার্যবিধিতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, উপ-ধারা (১) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার, সুপ্রিম কোর্টের সহিত পরামর্শক্রমে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বা, ক্ষেত্রমত, মেট্রোপলিটন এলাকার জন্য মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতকে বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত হিসাবে নির্ধারণ করিবে এবং একাধিক আদালত নির্ধারণ করা হইলে উহাদের প্রত্যেকটি আদালতের জন্য এলাকা নির্দিষ্ট করিয়া দিবে। (৩) সরকার, সুপ্রীম কোর্টের সহিত পরামর্শক্রমে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, সময় সময়, উপ-ধারা (১) এর অধীন নির্ধারিত খাদ্য আদালতের অধিক্ষেত্র নির্ধারণ বা পুনঃ নির্ধারণ করিতে পারিবে। (৪) ফৌজদারী কার্যবিধিতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের অধীন কোন ব্যক্তির উপর অর্থদণ্ড আরোপের ক্ষেত্রে খাদ্য আদালতের এই আইনে উল্লিখিত যে কোন পরিমাণ অর্থদণ্ড আরোপ করিবার ক্ষমতা থাকিবে। |
বিচার |
৬৫। (১) এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধ যে খাদ্য আদালতের স্থানীয় অধিক্ষেত্রের মধ্যে সংগঠিত হইবে, সাধারণভাবে সেই আদালতে উহার বিচার অনুষ্ঠিত হইবে।
(২) খাদ্য আদালত এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধসমূহের বিচার সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে সম্পন্ন করিবে এবং এতদুদ্দেশ্যে, এই আইনে ভিন্নতর কিছু না থাকিলে, ফৌজদারী কার্যবিধির Chapter XXII -তে বর্ণিত পদ্ধতি, যতদূর প্রযোজ্য হয়, অনুসরণ করিবে। |
অভিযোগ ও মামলা দায়ের |
৬৬। (১) খাদ্য ক্রেতা, ভোক্তা, গ্রহীতা বা খাদ্য ব্যবহারকারীসহ যে কোন ব্যক্তি এই আইনের অধীন নিরাপদ খাদ্য বিরোধী কার্য সম্পর্কে চেয়ারম্যান বা তদ্কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিনিধি বা পরিদর্শকের নিকট লিখিতভাবে অভিযোগ জানাইতে পারিবেন।
(২) চেয়ারম্যান বা তদকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা বা পরিদর্শক, এই আইনের অধীন যে কোন অপরাধ সংঘটনের বিষয় অবহিত হইবার পর, প্রয়োজনীয় অনুসন্ধান ও পরীক্ষা-নিরীক্ষান্তে সংশ্লিষ্ট অপরাধের বিষয়ে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হইলে, খাদ্য আদালতে মামলা দায়ের করিবে। (৩) এই ধারায় ভিন্নরূপ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, যে কোন ব্যক্তি, এই আইনের অধীন মামলা দায়েরের জন্য কারণ উদ্ভব হইবার ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে, নিরাপদ খাদ্য বিরোধী যে কোন কার্য সম্পর্কে খাদ্য আদালতে মামলা দায়ের করিতে পারিবেন। |
তদন্ত ও তদন্তকারী কর্মকর্তা |
৬৭। (১) চেয়ারম্যান কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা স্থানীয় অধিক্ষেত্রে নিয়োজিত পরিদর্শক তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসাবে এই আইনে বর্ণিত সকল অভিযোগের তদন্ত করিবেন।
(২) এই আইনের অধীন কোন অভিযোগের তদন্তকার্য পরিচালনাকালে তদন্তকারী কর্মকর্তা ফৌজদারী কার্যবিধির বিধান অনুসরণে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার ন্যায় ক্ষমতা প্রয়োগ করিবেন। (৩) উপ-ধারা (১) এর অধীন তদন্তকালে তদন্তকারী কর্মকর্তা, প্রয়োজনে, আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ অন্য যে কোন সংস্থার নিকট সহায়তা যাচনা করিতে পারিবেন এবং এইরূপ সহায়তা যাচনা করা হইলে উক্ত সংস্থা যাচিত সহায়তা প্রদান করিতে বাধ্য থাকিবে। |
তদন্তের সময়সীমা |
৬৮। (১) চেয়ারম্যান কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা পরিদর্শক খাদ্য আদালত কর্তৃক কোন অপরাধ তদন্তের আদেশ প্রদানের তারিখ হইতে পরবর্তী ৯০ (নববই) কার্যদিবসের মধ্যে তদন্তকার্য সম্পন্ন করিবেন।
(২) কোন যুক্তিসঙ্গত কারণে, উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত সময়সীমার মধ্যে, তদন্তকার্য সম্পন্ন করা সম্ভব না হইলে, তদন্তকারী কর্মকর্তা কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া অতিরিক্ত ৩০ (ত্রিশ) কার্যদিবসের মধ্যে তদন্তকার্য সম্পন্ন করিবেন এবং তৎসম্পর্কে কারণ উল্লেখপূর্বক খাদ্য আদালতকে লিখিতভাবে অবহিত করিবেন। (৩) উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত সময়সীমার মধ্যেও তদন্তকার্য সম্পন্ন করা না হইলে, সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী কর্মকর্তা উক্ত সময়সীমা অতিক্রান্ত হইবার ২৪ (চবিবশ) ঘন্টার মধ্যে উক্তরূপ তদন্তকার্য সম্পন্ন না হওয়া সম্পর্কে খাদ্য আদালতকে লিখিতভাবে অবহিত করিবেন। (৪) উপ-ধারা (৩) এর অধীন তদন্তকার্য সম্পন্ন না হওয়া সম্পর্কে অবহিত হইবার পর খাদ্য আদালত উক্ত অপরাধের তদন্তভার অন্য কোন কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর করিবে এবং উক্ত উপ-ধারায় উল্লিখিত কর্মকর্তা কর্তৃক যথাসময়ে তদন্তকার্য সম্পন্ন না করিবার ব্যর্থতাকে অযোগ্যতা গণ্যে তাহার বিরুদ্ধে যথাযথ বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ প্রদান করিবে। |
পরোয়ানা জারীর ক্ষমতা |
৬৯। কর্তৃপক্ষ বা উহার পক্ষে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তার আর্জির প্রেক্ষিতে বা স্বীয় বিবেচনায় খাদ্য আদালতের যদি এইরূপ বিশ্বাস করিবার কারণ থাকে যে,- (ক) কোন ব্যক্তি এই আইনের অধীন কোন অপরাধ সংঘটন করিয়াছেন, বা (খ) এই আইনের অধীন অপরাধ সংক্রান্ত কোন বস্ত্ত বা উহা প্রমাণের জন্য প্রয়োজনীয় কোন দলিল, দস্তাবেজ বা কোন প্রকার জিনিসপত্র কোন স্থানে বা কোন ব্যক্তির নিকট রক্ষিত আছে, তাহা হইলে অনুরূপ বিশ্বাসের কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া উক্ত আদালত উক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করিবার জন্য বা উক্ত স্থানে, দিনে বা রাতে যে কোন সময়ে, পরোয়ানা জারী করিতে পারিবে। |
তল্লাশি, গ্রেফতার, ইত্যাদির ক্ষমতা |
৭০। এই আইনের অধীন জারীকৃত পরোয়ানা তল্লাশি, গ্রেফতার ও আটকের বিষয়ে ফৌজদারী কার্যবিধির বিধান প্রযোজ্য হইবে। |
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি ও আটককৃত মালামাল সম্পর্কে বিধান |
৭১। (১) ধারা ৬৯ এর অধীন জারীকৃত কোন পরোয়ানার ভিত্তিতে কোন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হইলে বা কোন বস্ত্ত আটক করা হইলে অনতিবিলম্বে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি বা আটককৃত বস্ত্তটিকে নিকটস্থ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট প্রেরণ করিতে হইবে।
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন ব্যক্তি বা বস্ত্ত যে কর্মকর্তার নিকট প্রেরণ করা হইবে তিনি যথাশীঘ্র সম্ভব উক্ত ব্যক্তি বা বস্ত্ত সম্পর্কে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।
|
ক্যামেরায় গৃহীত ছবি, রেকর্ডকৃত কথাবার্তা ইত্যাদির সাক্ষ্য মূল্য |
৭২। Evidence Act, 1872 (Act No. I of 1872) তে ভিন্নরূপ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থার সহিত জড়িত কোন ব্যক্তি বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কোন সদস্য বা অন্য কোন ব্যক্তি এই আইনে বর্ণিত কোন অপরাধ বা ক্ষতি সংঘটন বা সংঘটনের প্রস্ত্ততি গ্রহণ বা উহা সংঘটনে সহায়তা সংক্রান্ত কোন ঘটনার বিষয়ে ভিডিও বা স্থিরচিত্র ধারণ বা গ্রহণ করিলে বা কোন কথাবার্তা বা আলাপ-আলোচনা রেকর্ড করিলে উক্ত ভিডিও, স্থিরচিত্র, অডিও উক্ত অপরাধ বা ক্ষতি সংশ্লিষ্ট মামলা বিচারের সময় সাক্ষ্য হিসাবে গ্রহণযোগ্য হইবে। |
অভিযোগের সত্যতা নিরূপণের ক্ষেত্রে খাদ্যদ্রব্যের পরীক্ষা |
৭৩। (১) অভিযোগের সত্যতা নিরূপণের ক্ষেত্রে খাদ্য আদালত যদি মনে করে যে, উক্ত খাদ্যদ্রব্যের যথাযথ পরীক্ষা ব্যতীত অভিযোগের সত্যতা নিরূপণ করা সম্ভব নহে, তাহা হইলে আদালত অভিযোগকারীর নিকট হইতে উক্ত পণ্যের একটি নমুনা সংগ্রহ করিয়া উহাতে সীলমোহর প্রদানক্রমে তৎনির্ধারিত পদ্ধতিতে প্রত্যয়ন করিবে এবং নমুনায় নিষিদ্ধ পদার্থ বিদ্যমান থাকিবার বিষয়ে পরীক্ষার প্রয়োজনীয় নির্দেশসহ উহা সরকার বা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত পরীক্ষাগারে প্রেরণ করিবে।
(২) কোন পরীক্ষাগারে উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন খাদ্যদ্রব্য পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করা হইলে, প্রেরণের তারিখ হইতে ১ (এক) মাসের মধ্যে উহার রিপোর্ট আদালতে প্রেরণ করিতে হইবে: তবে শর্ত থাকে যে, যুক্তিসঙ্গত কারণে উক্ত সময়ের মধ্যে পরীক্ষা সম্পন্ন করা না গেলে, পরীক্ষাগারের চাহিদামত, পরীক্ষার সময় আরও ২ (দুই) সপ্তাহ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা যাইবে। (৩) খাদ্য আদালত কোন খাদ্যদ্রব্যের নমুনা সরকার বা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত পরীক্ষাগারে প্রেরণের পূর্বে উক্ত খাদ্যদ্রব্যের নমুনায় উত্থাপিত অভিযোগ যাচাইয়ের জন্য প্রয়োজনীয় পরীক্ষার ব্যয় নির্বাহের উদ্দেশ্যে নির্ধারিত অর্থ বা ফি জমা দানের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে। |
আপীল |
৭৪। খাদ্য আদালত কর্তৃক প্রদত্ত রায় বা আদেশ দ্বারা কোন পক্ষ সংক্ষুব্ধ হইলে তিনি উক্ত রায় বা আদেশ প্রদত্ত হইবার ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে স্থানীয় অধিক্ষেত্রের দায়রা জজের আদালতে আপীল দায়ের করিতে পারিবেন। |
মোবাইল কোর্টের এখতিয়ার |
৭৫। এই আইনে ভিন্নরূপ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের অধীন অপরাধসমূহ, যে ক্ষেত্রে যতটুকু প্রযোজ্য, মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ৫৯ নং আইন) অনুসারে বিচার্য হইবে। |
বাংলাদেশে খাদ্য নিয়ন্ত্রণ সংস্থা
নিচের মন্ত্রণালয়গুলি এবং বিভাগগুলি এবং তাদের অধীনস্থ বিভাগগুলি সরাসরি এবং পরোক্ষভাবে খাদ্য নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিতে জড়িত। কিছু সংস্থা নীতি প্রণয়ন করেছে এবং কিছু সংস্থা সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করেছে।
* মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়
* স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়
* শিল্প মন্ত্রণালয়
* বাণিজ্য মন্ত্রণালয়
* স্থানীয় সরকার বিভাগ
* স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
* আইন ও আইন বিষয়ক মন্ত্রণালয়
* জাতীয় রাজস্ব বোর্ড / আইআরডি
* কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ
* মৎস্য বিভাগ
* লাইভস্টক সেবা বিভাগ
* স্বাস্থ্য সেবা অধিদফতরের মহাপরিচালক
* বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন
* পরিবেশ বিভাগ
* বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড (বিএবি)
* বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)
* জাতীয় ভোক্তা অধিকার সুরক্ষা অধিদপ্তর
* বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ
* 9 সিটি কর্পোরেশন
* 67 পৌর কর্পোরেশন
* 319 পৌরসভা
Transparency International Bangladesh (TIB)
নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণ: সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ
নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ অনুযায়ী কেন্দ্রীয় নির্বাহী কর্তৃপক্ষ হিসেবে খাদ্য উৎপাদন, আমদানী, প্রক্রিয়াকরণ, গুদামজাতকরণ, বিতরণ এবং বিপণন প্রক্রিয়ায় নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করার জন্য পর্যবেক্ষণ ও পরিবীক্ষণ করণের জন্য কেন্দ্রীয় নির্বাহী কর্তৃপক্ষ হিসেবে “বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ” ২০১৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারী প্রতিষ্ঠিত হয়। একজন চেয়ারম্যান এবং ৪ জন সদস্যের সমন্বয়ে কর্তৃপক্ষ গঠিত হয়েছে।
বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতির যথাযথ অনুশীলনের মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্যপ্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত করতে খাদ্য উৎপাদন, আমদানী, প্রক্রিয়াকরণ, মজুদ, সরবরাহ, বিপণন এবং বিক্রয় প্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম সমন্বয়ের মাধ্যমে সহযোগিতা প্রদান এবং নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনার সাথে সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থার কার্যাবলীর সমন্বয় সাধন করা বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের কাজ।
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের কাঠামো কার্যকরভাবে কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব ও কার্যকারিতা প্রয়োগের ক্ষেত্রে আইন পাঁচজন পরিচালকের নেতৃত্বে পাঁচটি বিভাগ সহায়তা করবে তা হলোঃ
# নিরাপদ খাদ্য প্রয়োগ এবং অনুসরণ পর্যবেক্ষণ বিভাগ
# খাদ্য গবেষণা নেটওয়ার্ক
# নিরাপদ খাদ্যের মান এবং গুণগত মান নিশ্চিতকরণ
# নিরাপদ খাদ্য ঝুকিমূল্যায়ন এবং যোগাযোগ বিভাগ
# কর্পোরেট সেবাবিভাগ
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ কর্তৃক
১) খাদ্য সতর্কতা বিস্তারিত
২) আইন বিস্তারিত
৩) খাদ্যবার্তা বিস্তারিত
৪) আইন/বিধি/নীতিমালা/পরিপত্র/নির্দেশিকা/প্রজ্ঞাপন বিস্তারিত
৫) তথ্য অধিকারঃ দায়িত্বপ্রাপ্ত ও আপীল কর্মকর্তা
নির্বাহী বিভাগ
বিএফএসএর কাঠামো উন্নয়নশীল পর্যায়ে রয়েছে। তবে, ফুড সেফটি অ্যাক্ট, ২013 অনুসারে বিএফএসএতে কমপক্ষে পাঁচ (5) কার্যকরী বিভাগ থাকবে। চেয়ারম্যান হলেন চীফ এক্সিকিউটিভ (এক্সিকিউটিও) একটি সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট টিম, খাদ্য নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ এবং প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগত ও প্রশাসনিক সহায়তা কর্মীদের দ্বারা সমর্থিত।
বিএফএসএ কর্তৃক পূর্ণ হওয়া উচিত এমন বহুমুখী বিধিবদ্ধ কর্তব্য ও কাজগুলির বিবেচনায়, এটি সরকারকে সাত (7) কার্যকরী বিভাগগুলির সাংগঠনিক কাঠামোর প্রস্তাব দিয়েছে, যার প্রতিটি পরিচালক নীচের হিসাবে উল্লেখ করেছেন।
* খাদ্য নিরাপত্তা প্রয়োগ এবং বিশুদ্ধতা নিরীক্ষণ বিভাগ
* ফুড ল্যাবরেটরি নেটওয়ার্ক সমন্বয় কার্যক্রম বিভাগ
* খাদ্য নিরাপত্তা স্ট্যান্ডার্ড এবং মানের আশ্বাস বিভাগ
* খাদ্য নিরাপত্তা ঝুঁকি মূল্যায়ন এবং যোগাযোগ বিভাগ
* গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগ (প্রস্তাবিত)
* তথ্য প্রযুক্তি বিভাগ (প্রস্তাবিত)
* কর্পোরেট এফেয়ার্স এবং এনফোর্সমেন্ট অডিট বিভাগ See Here
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খাদ্য সতর্কতা
১। খাদ্য ব্যবসায় ক্রয়-বিক্রয় এর রশিদ বা চালান সংরক্ষণ সম্পর্কিত সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি।
৩। কোরবানির গবাদিপশু পালনকারী, ক্রেতা ও বিক্রেতাগণের করণীয় সম্পর্কে গণবিজ্ঞপ্তি।
৪। কোরবানির গবাদিপশু জবাই, মাংস প্রস্তুত, ও সংরক্ষণে করণীয় সম্পর্কে গণবিজ্ঞপ্তি
৫। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণে মোড়কাবদ্ধ খাদ্য লেবেলিং বিষয়ক সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি।
৬। খাদ্য স্পর্শক (Food Contact Material) উৎপাদন ও ব্যবহার সম্পর্কিত সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি।
৭। খাদ্যপণ্যের বিজ্ঞাপন প্রচার সম্পর্কিত সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি।
৯। বাজারে জাল বা কৃত্রিম ডিমের উপস্থিতি সম্পর্কে ভুল ধারণার বিষয়ে জনসাধারণের নোটিশ।
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ কর্তৃকঃ
মিষ্টি বেকারী ও খাবার তৈরীর কারখানা/স্থাপনায় পালনীয়
আইন/বিধি/নীতিমালা/পরিপত্র/নির্দেশিকা/প্রজ্ঞাপন
রেস্তোরাঁর গ্রেডেশনের জন্য বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের মূল্যায়ন ছক
খাদ্য স্থাপনা (মিষ্টি বেকারী ও খাবার তৈরীর কারখানা) গ্রেডেশনের জন্য মূল্যায়ন ছক
কোথায় বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত
নিরাপদ খাদ্য আইনের ৬৬ ধারা অনুসারে খাদ্য ক্রেতা ও ভোক্তারা তাঁদের যেকোনো অভিযোগ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান অথবা তাঁর কাছ থেকে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে (কর্মকর্তাবৃন্দের তালিকা (জ্যেষ্ঠতার ক্রমানুসারে নয় )) লিখিতভাবে জানাতে পারবেন। পরে তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রাথমিক তদন্তের পরে অপরাধ পেলে খাদ্য আদালত মামলা করবেন। বর্তমানে দেশে ৭২৫ জন স্যানিটারি ইন্সপেক্টর নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শকের দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁরাই নিরাপদ খাদ্য আইনের মামলার বাদী হন।
এখানে দেখুন ও এখানে দেখুন
অভিযোগ ও প্রতিকার
সরকারি দপ্তর এবং আওতাধীন দপ্তর/সংস্থার প্রতিশ্রুত সেবা, সেবা প্রদান পদ্ধতি এবং সেবা অথবা পণ্যের মান সম্পর্কে আপনার অসন্তোষ বা মতামত এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জানাতে পারেন। অভিযোগ দাখিল করার পর SMS ও ই-মেইলের মাধ্যমে অভিযোগ প্রতিকারের সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে জানানো হবে। এ ছাড়া লগইন করেও হালনাগাদ তথ্য জানা যাবে। তবে অজ্ঞাতনামা হিসেবে অভিযোগ দাখিল করলে অভিযোগ সম্পর্কে পরবর্তী কোনো তথ্য পাওয়া যাবে না। অভিযোগ দাখিলের পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন…