ইসরাইলি সেনাবাহিনী দাবি করছে যে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে হিজবুল্লাহর সাতটি ঘাটিতে তারা হামলা চালিয়েছে। তারা জানায় ইসরাইলি উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের হত্যা করতে ইরান-সমর্থিত ষড়যন্ত্রে যুক্ত সন্দেহে এক ইসরাইলি নাগরিককে গ্রেফতার করেছে। ভয়েস অব আমেরিকা
সুত্রে এ তথ্য জানা যায়। ইসরাইলি প্রশাসন জানায় গ্রেফতার হওয়া ওই ব্যক্তি একজন ব্যবসায়ী। তার তুরস্কের সাথে যোগযোগ রয়েছে এবং ইরানে অন্তত দু’টি বৈঠকে তিনি যোগ দিয়েছিলেন। তাদের ষড়যন্ত্রের সম্ভাব্য লক্ষ্য ছিলেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট।
বৃহস্পতিবার হামলার পাশাপাশি ইসরাইলি সামরিক বাহিনী আরো জানিয়েছে, লেবাননের দিক থেকে কয়েকটি ড্রোন ইসরাইলি ভূখণ্ডে উড়ে এসেছে।
লেবাননে হিজবুল্লাহর ব্যবহৃত ওয়াকি-টকি ও পেজার বিস্ফোরণে মঙ্গলবার ও বুধবার কমপক্ষে ৩২ জন নিহত ও তিন হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে। এই বিস্ফোরণের পরই ঘটেছে সর্বশেষ সীমান্ত হামলা।
হিজবুল্লাহ এই হামলার জন্য দায়ী করছে ইসরাইলকে। তবে ইসরাইল সেই দায় স্বীকার বা প্রত্যাখ্যান করেনি।
গ্যালান্ট বৃহস্পতিবার জানান, ‘হিজবুল্লাহর হুমকির বিরুদ্ধে ইসরাইলের আত্মরক্ষা’ এবং এই অঞ্চলের পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সাথে টেলিফোনে কথা বলেছেন।
পেন্টাগন জানায়, এই অঞ্চলে ইরান, হিজবুল্লাহ ও ইরানের অন্য সহযোগীদের ‘হুমকির মুখে ইসরাইলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের অটল ও দৃঢ় সমর্থনের’ কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন অস্টিন।
পেন্টাগনের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘আঞ্চলিক প্রতিপক্ষকে নিরস্ত করতে ও এই অঞ্চলে উত্তেজনা হ্রাস করতে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গীকারের ওপর জোর দিয়েছেন মন্ত্রী।
ইসরাইল ঘোষণা করেছিল যে হিজবুল্লাহর রকেট হামলা থেকে ইসরাইলের উত্তরাঞ্চলকে রক্ষা করতে গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে তাদের লক্ষ্যকে আরো প্রসস্থ করা হচ্ছে।
তবে কয়েকজন সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তার মতে, হিজবুল্লাহর পেজার, রেডিও ও অন্যান্য যন্ত্রে বিস্ফোরণ ঘটানো কার্যত যুদ্ধ না করে নিজেদের লক্ষ্যপূরণে ইসরাইলি প্রচেষ্টার অংশ হতে পারে।